এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ২:২৬ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

‘ডুবোযানে বিস্ফোরণ হয়েছিল, বেঁচে নেই কেউ’

১ min read

আটলান্টিক মহাসাগরে হারিয়ে যাওয়া ডুবোযান টাইটানে বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। এছাড়া সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, গভীর সমুদ্রের এ যানটির আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই।

গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির ডুবোযানটি। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে উপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বোস্টন শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। তিনি জানান, তারা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছেই অপর একটি ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পান। সেখানে ডুবোযান টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ পাওয়া যায়। আর এসব অংশ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এতে বিস্ফোরণ হয়েছিল।

ডুবোযানটিতে ঠিক কখন বিস্ফোরণ হয়েছিল সেটি এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

তবে তিনি জানিয়েছেন, যখন তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তখন বিস্ফোরণ বা এ জাতীয় কোনো কিছু শনাক্ত করা যায়নি।

মানে ধারণা করা হচ্ছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এবং উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার আগেই টাইটানে বিস্ফোরণ হয়েছিল। যানটি নিখোঁজ হওয়ার পর সবমিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে। যার মধ্যে রয়েছে— টাইটানের সামনের নাকের অংশ,  কাঠামোর বাইরের অংশ এবং বড় একটি ধ্বংসস্তূপ।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা এটি এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। কারণ বর্তমানে সেখানকার অবস্থা তেমন ভালো নয়।

এছাড়া বুধবার সমুদ্রের নিচ থেকে যে শক্তিশালী শব্দ এসেছিল তার সঙ্গে টাইটান ডুবোযানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যেহেতু ডুবোযানটি বিস্ফোরণ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই সেখানে থাকা উদ্ধারকারী জাহাজ ও মেডিকেল টিমকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে সাগরের তল দেশে যে ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে সেখানে তদন্ত চালাবে মার্কিন কোস্টগার্ড। ফলে সেখানে গভীর সমুদ্রের দূরনিয়ন্ত্রিত যান থাকবে।

বেসরকারি সংস্থা ওশেনগেট টাইটান নামের এ ডুবোযানটি পরিচালনা করত। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, যানটিতে থাকা তাদের সিইও স্টকটন রাসম, শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান দাউদ, হামিস হার্ডিং এবং পল-হেনরি নারগোলেট সবাই এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

ওশেনগেটের এ যানটিতে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেকজন যাত্রী ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!