এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সিলেট ও রংপুরে স্থাপন করা হবে শ্রম আদালত

১ min read

বাংলাদেশের সিলেট ও রংপুরে শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ১১ সদস্য বিশিষ্ট ইইউ’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জেন ল্যাম্বার্ড।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিধি দল মূলত গার্মেন্ট কারাখানা পরিদর্শনের অবস্থা, শ্রম আইন সংশোধন, ইপিজেড শ্রম আইন প্রণয়ন, নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে চেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি কারখানা পরিদর্শনের কাজ শেষ করেছি, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কাজ শেষ করেছে। এখন আমাদের নিজস্ব সংস্কার সেল আছে, মিটিং হবে তারপর আমরা কাজ করব।’

‘ইপিজেড চালুর সময় ট্রেড ইউনিয়ন চালু করা যাবে না বলে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেখানে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন হয়েছে। এখন সর্বশেষ শ্রম আইনের আদলে একটা ইপিজেডের জন্য আলাদা একটা শ্রম আইন করা হচ্ছে, এটা আগে ছিল না। সেটা সংসদে গিয়েছে। সেটার উপর আইএলও কিছু অবজারভেশন দিয়েছে। সেজন্য আমরা নজিরবিহীনভাবে সেটা পার্লামেন্ট থেকে প্রত্যাহারের পর পরিমার্জন করে ফের পার্লামেন্টে পাঠিয়েছি। এসব অগ্রগতি আমরা তুলে ধরেছি।’

চুন্নু বলেন, ‘বাংলদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন কতদূর এগিয়েছে আমাদের সচিব যেহেতু নারী তিনি এ বিষয়ে সঠিকভাবে উত্তর দিয়েছেন।’

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া আমরা আরও দুটি লেবার কোর্ট (শ্রম আদালত) বাড়াচ্ছি। যাতে শ্রমিকরা বিচারের সুযোগ পায়। নতুন দুটি লেবার কোর্টের একটি হবে সিলেটে আরেকটি হবে রংপুরে।’

বর্তমানে দেশে মোট সাতটি শ্রম আদালত রয়েছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘ঢাকায় তিনটি লেবার কোর্ট আছে। কোর্টগুলো একসঙ্গে আছে। কোর্টের জুরিসডিকশন (আওতা) নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর- এভাবে আলাদা করতে পারি কি-না এ রকম একটি চিন্তা-ভাবনা আমাদের আছে। অর্থাৎ কোর্টটাকে শিফট করা। গাজীপুরের শ্রমিক ঢাকায় এসে বিচার পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট জিনিস।’

শ্রম আইন সংশোধনসহ বাংলাদেশের শ্রম খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কাছে একটি ড্রাফট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘তারা সেটার ওপর পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী অধিবেশনে শ্রম আইনটি সংশোধন করতে পারব। এখন সিস্টেম আছে, কোন ফ্যাক্টরিতে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন লাগবে। এটা আমরা কমাচ্ছি। চারটি স্লাব করে এটা আমরা কমাচ্ছি।’

‘রানা প্লাজা ধসের ঘটনার আগে দেশে পোশাক খাতে ১২০টি ট্রেড ইউনিয়ন ছিল এখন তা ৭০০টিতে পৌঁছেছে। আরও কয়েকশ প্রক্রিয়াধীন আছে।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইএলও চায় ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড। সেটা কী আমাদের দেশে সম্ভব। আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে আমাদের কর্মকর্তারা বলেছেন, একজন মালিক ঢাকা থেকে ফ্যাক্টরি শিফট করে নিয়েছে ঢাকার বাইরে। কোটি কোটি টাকা লেগেছে। তোমাদের ক্রেতারা তো মূল্য কমিয়েছে। আমরা একটা ইথিক্যাল প্রাইস চাই। এ বিষয়ে তোমাদের ক্রেতাদের অনুরোধ কর।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!