ভারত সীমান্তে চীনের নতুন সেনা কমান্ডার
১ min readসম্প্রতি বেড়ে যাওয়া সীমান্ত উত্তেজনায় ভারত ও চীনের তাদের নিজ সীমান্তে সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে। উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তির খবরও পাওয়া গেছে। আর এমন মহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নতুন সেনা কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছে চীন। লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চীন উভয়ে সেনা মোতায়েন বাড়ালেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছিল।
কিন্তু এরমধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছেন জেনারেল জু ওইলিং। এই নিয়োগে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়বে বলে আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলের। জু ওইলিং এর আগেও ওই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার পদে ছিলেন। ফলে অনেক কিছুই তার পরিচিত এবং নখদর্পণে।
ধারণা করা হচ্ছে, কৌশলগত কারণে চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের আগে জু ওইলিংয়ের নিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মত সামরিক বিশ্লেষকদের। জেনারেল জু ওইলিং জেনারেল ঝাও জোংকির অধীনে কাজ করবেন। ঝাও এক সময় ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কমান্ডার ছিলেন। তিনি পদাতিক, বিমান বাহিনী এবং রকেট ফোর্সের পুরো বিষয় দেখভাল করতেন।
চীনা সেনাবাহিনীর পাঁচটি থিয়েটারের মধ্যে এই ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের ওপর ভারত-চীন সীমান্তের নিরাপত্তার ভার ন্যস্ত। ২০১৭ সালে যখন ডোকালাম সীমান্তে কয়েক মাস ধরে ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চলছিল তখনও ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের দায়িত্বে ছিলেন এই জেনারেল ঝাও। তিনি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
ভারত সীমান্ত নিয়ে জেনারেল ঝাও জোংকি এবং জেনারেল জু ওইলিং সিদ্ধান্ত নেবেন। গত মাসের শুরুতে ভারত-চীন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। তারপর উভয় পক্ষ সেখানে সেনা উপস্থিতি বাড়ায়। চীন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নতুন করে ৭০ থেকে ৮০টি সেনা ছাউনি বসায়। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও বেইজিং বা দিল্লি কোনো পক্ষই অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করেনি।