সৌদিতে আরও ১৫০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র
১ min readচলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। এ নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয় ওয়াশিংটন। এর মধ্যেই ২০ সেপ্টেম্বর সৌদি-আমিরাতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় পেন্টাগন।
১১ অক্টোবর, শুক্রবার পেন্টাগন জানিয়েছে, সৌদি আরবে দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন, একটি এয়ার অ্যাক্সপিডিশনারি উইন, দুটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি ও একটি টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) সিস্টেম মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র জনাথন হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা জোরদার ও নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত এই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আজ (শুক্রবার) সকালে দেশটির যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।’
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফট ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানকে গত কয়েক সপ্তাহ আগে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়নের কথা ছিলো, তবে তার বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে সেখানে মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই অঞ্চলে রয়েছে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন, তার অবস্থান পরিবর্তন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। এ জন্য ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রেরণ জরুরি। সিএনএন’কে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত এয়ারক্রাফট ও কিছু যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রয়েছে, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যেতে পারে। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে অতিরিক্ত সেনা শক্তি প্রেরণের অনুরোধ করেন কর্মকর্তারা।
সৌদি আরবে তেল স্থাপনায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি’র অনুরোধে সেখানে এই অতিরিক্ত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম প্রেরণের ঘোষণা দেয় পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের স্বাভাবিক ও প্রাথমিক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।’