মে ৩, ২০২৪ ৬:২৬ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

গ্রিসে মার্কিন বিজ্ঞানীকে ধর্ষণের পর হত্যা

১ min read

গ্রিসের ক্রেট দ্বীপের ২৭ বছর বয়সী এক কৃষক মার্কিন এক বিজ্ঞানীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। দেশটির পুলিশ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। অভিযুক্ত ওই হত্যাকারী মার্কিন বিজ্ঞানীকে হত্যার পর তার লাশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বাঙ্কারে গুম করে রাখে।

ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক অনলাইন প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে। গ্রীসের ক্রেট দ্বীপ পুলিশের পরিচালক কনস্টানটিস লাগোয়াডাকিস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে যাকে সন্দেহ করা হয়েছিল সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।’

নির্মমভাবে হত্যা ও ধর্ষণের স্বীকার মার্কিন ওই মলিক্যুলার জীববিজ্ঞানীর নাম সুজানে ইয়াটোন। তিনি জার্মানির ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের একজন অধ্যাপক। ক্রেট দ্বীপের শহর ছানিয়া থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২ জুলাই শেষবার তাকে দেখেছিল তার বন্ধুরা।

সুজানে ইয়াটোন নামের ৫৯ বছর বয়সী ওই মার্কিন বিজ্ঞানী ছানিয়া শহরে এক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, হাইকিংয়ের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন। মুঠোফোন হোটেলে রেখে যাওয়ায় নিখোঁজ হলেও তার বন্ধুরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযূক্ত হত্যাকারী বিবাহিত। তার দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর ছেলে। তিনি ইয়াটোন নামের ওই মার্কিন বিজ্ঞানীকে ধাওয়া করে তাকে আটক করেন। তারপর জামোডোকুরি নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর মরদেহ দূরবর্তী একটি বাঙ্কারে ফেলে দেয়।

ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইয়টোনকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। যে বাঙ্কারে তার মরদেহ ফেলে দেয়া হয়েছে সেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সেনাদের দখলে ছিল। তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখার কাজে সেটি ব্যবহার করতো।

পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াটোন নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর তার মরদেহ ওই বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই মার্কিন অধ্যাপকের স্বামীও একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ইয়াটোনের মৃত্যুর পর ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমন একটি দুঃখজনক ঘটনায় তারা গভীরভাবে মর্মাহত।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
error: Content is protected !!