ব্রেক্সিট চুক্তি চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্টে তুলবেন থেরেসা মে
১ min read
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ-সংক্রান্ত চুক্তিটিতে এমপিদের সমর্থন আদায়ে চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্টে তুলবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও তার মন্ত্রিসভা। চুক্তিটি এর আগেও তিনবার পার্লামন্টে তোলা হলে প্রত্যাখ্যাত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, শুক্রবার পার্লামন্টে তার চুক্তিটি উত্থাপিত হলে ৫৮ ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ব্রেক্সিট সম্পাদনের জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার চুক্তির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৬টি আর বিপক্ষে ভোট দেন ৩৪৪ জন এমপি।
ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান যে সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্য তার সম্ভাব্য সমাধানের উপায় হিসেবে নানা ধরনের প্রস্তাবের ওপর এমপিরা আগামী সোমবার ভোট দেবেন। তাদের এই ভোট দেয়ার প্রক্রিয়াটিকে বলা হচ্ছে ইনডিকেটিভ ভোট অর্থাৎ ইঙ্গিতবহ ভোট। কেমন সমাধান এমপিদের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেটা প্রকাশ করাই এর উদ্দেশ্য।
বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে তার চুক্তিটি পরিবর্তনের করতে বলেছেন অথবা তাকে যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার থেরেসা মে তার সম্পাদিত চুক্তিতে সমর্থন আদায়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের ঘোষণাও দেন। গত বুধবার দলীয় সংসদ সদস্যদের সভায় তিনি বলেন, ‘চুক্তিতে সমর্থন দিন, আমি পদত্যাগ করব।’
তাছাড়া থেরেসা মে’র সংখ্যালঘু সরকারের জোট শরিক নর্দান আয়ারল্যান্ডের দল ডিইউপি ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত এই চুক্তিটির বিরোধিতা করে আসছে। থেরেসা মে’র সরকারকে সংখ্যালঘু বলা হচ্ছে কারণ ডিইউপি যদি ক্ষমতাসীন জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে মে’র সরকার। তাছাড়া সরকার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির ৩৪ এমপিকে এখনো চুক্তির পক্ষে আনতে পারেনি। চরম ব্রেক্সিটপন্থী এসব এমপি চুক্তির বিরোধিতা করছে এবং এর বিপক্ষে ভোট দিচ্ছে। তাদের দাবি, এই চুক্তির ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবমুক্ত হতে পারবে না যুক্তরাজ্য।