মমতাকে ধাক্কা, মাথা-পায়ে চোট
১ min read
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে দুটো মন্দিরে পূজা দিতে যান তিনি।
পূজা দেয়া শেষে রেয়াপাড়ায় বিরুলিয়াতে হঠাৎ করেই চার-পাঁচজন তাকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ উঠে। এমনকি সেখানে পড়েও যান তিনি। পায়ে পান গুরুতর চোঁট। কপালেও আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে গাড়ির পেছনের সিটে শুইয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার নিরাপত্তারক্ষীরা।
এ ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভিড়ের মধ্যে বাইরের চার-পাঁচজন লোক ঢুকে পড়েছিল। তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। ওরা ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরেছে। ঘটনার সময় সময় সেখানে কোনো পুলিশও ছিলো না। এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে।
বিষয়টি নিয়ে মমতা বলেছেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানাবেন।
আঘাত লেগে পা ফুলে গেছে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যন্ত্রণাকাতর মমতা এর বেশি কিছু বলতে পারেননি। এরপরই তাকে কলকাতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সেখানে গাড়ি থামিয়ে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তখন সামনের সিটে বসেছিলেন। আচমকাই তার গাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে কে বা কারা দরজা বন্ধ করে দেয়। তাতেই পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে মমতার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু তার পায়ে যেভাবে আঘাত লেগেছে তাতে কত দিনে তিনি সুস্থ হবেন সেটা বলা মুশকিল
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করার কথা ছিল তার।
কিন্তু আহত হওয়ায় বাকিসব কর্মসূচি স্থগিত করে আপাতত কলকাতায় ফিরছেন মমতা। সেখানে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।