২০১৮ সালে বিশ্ব যাদের হারিয়েছে
১ min read২০১৮ সালে বিশ্ব এমন সব মানুষকে হারিয়েছে যাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে পৃথিবীর বিজ্ঞান, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য, উদ্ভাবনসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে; যাদের অবদানের কারণে সভ্যতা এগিয়ে গেছে বেশ কয়েক ধাপ। তাদের কর্ম তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে সহস্র শতাব্দী। এরকম দশজন সৃষ্টিশীল মানুষের কথা স্মরণ করছি এই প্রতিবেদনে।
স্টিফেন হকিং
পৃথিবীর সেরা মহাকাশবিজ্ঞানীদের একজন স্টিফেন হকিং। যার লেখা ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের একটা। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর ও আপেক্ষিকতা নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ব্রিটিশ এই পদার্থবিদ। ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
শ্রীদেবী
বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শ্রীদেবী। বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টার হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য ২০১৩ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
স্ট্যান লি
মার্কিন কমিক বই লেখক ও মার্ভেল কমিকসের স্রস্টা স্ট্যান লি। স্পাইডারম্যান, এক্স ম্যান, হাল্ক, আয়রনম্যান, ডক্টর স্ট্রেঞ্জের মতো দুনিয়া-কাঁপানো সব চরিত্রের অন্যতম স্রষ্টা তিনি। তাকে বলা হয় হিরোদের বাবা। চলতি বছরের ১২ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর
জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট হন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। দুই দফা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাছাড়া তার ছেলে জর্জ ডব্লিউ বুশ দুই দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পল অ্যালেন
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেন। গত ১৫ অক্টোবর ৬৫ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।
কফি আনান
জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী কফি আনান ১৮ আগস্ট মারা যান। জাতিসংঘকে পুনরুজ্জীবিত করা ও মানবাধিকারকে প্রাধান্য দেয়ায় ২০০১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
ভি এস নাইপল
সাহিত্যে নোবেলজয়ী লেখক ভি এস নাইপল গত ১১ আগস্ট ৮৫ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই লেখক ৩০টির বেশি বই লিখেছেন। ১৯৭১ সালে তিনি বুকার পুরস্কার পান। আর ২০০১ সালে পান সাহিত্যে নোবেল।
জন ম্যাককেইন
মস্তিষ্কে টিউমারসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগে গত ২৫ আগস্ট রিপাবলিকান দলের মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেন ম্যাককেইন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
উইনি ম্যান্ডেলা
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা উইনি ম্যান্ডেলা চলতি বছরের ২ এপ্রিল ৮১ বছর বয়সে মারা যান। ওই আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার সাবেক স্ত্রী তিনি।
অ্যারেথা ফ্রাঙ্কলিন
‘কুইন অব সোল’ হিসেবে জগৎজোড়া খ্যাতি ছিল সংগীতশিল্পী অ্যারেথা ফ্রাঙ্কলিনের। সেই কিংবদন্তির জীবনাবসান হয় ১৬ আগস্ট। ৭৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান তিনি।