এআই গবেষণায় তিন বিজ্ঞানী পেলেন টুরিং পুরস্কার
১ min readএআই গবেষণায় তিন বিজ্ঞানী পেলেন কম্পিউটিংয়ে ‘নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে খ্যাত এএম টুরিং অ্যাওয়ার্ড। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে কাজ করে এই স্বীকৃতি উঠলো তাদের হাতে।
এ বছর নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করায় পুরস্কারটি পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর অধ্যাপক জিওফ্রি হিন্টন, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়ান লিকুন ও ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিলের অধ্যাপক ইওশুয়া বেনজিও। পুরস্কার হিসেবে তারা তিনজন মিলে পাচ্ছেন ১০ লাখ ডলার (৮ কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা)।
১৯৬৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এএম টুরিং অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে কম্পিউটিং প্রফেশনালদের বৃহৎ সংগঠন দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)। কম্পিউটিং নিয়ে সেরা কাজ করা ব্যক্তিরা এটি পেয়ে থাকেন।
যন্ত্রের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের কথাবার্তা ও শব্দ সহজে বুঝতে পারার বিষয়টি নিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে গবেষণা করছেন বিজয়ী তিন বিজ্ঞানী। কয়েক দশক ধরে বিগ ডেটা নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে ফেস রিকোগনিশন, ডিজিটাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়্যারহাউস রোবট, সেলফ ড্রাইভিং কার ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি তিনজনই বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন। তাদের মধ্যে ড. হিন্টন গুগলে, ড. লিকুন ফেসবুকে আর ড. বেনজিও যুক্ত আছেন আইবিএম ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে।
মানুষের মস্তিষ্কের নিউরন একটি নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কীভাবে বিশাল ডেটার মধ্যে গাণিতিক কমপ্লেক্স পদ্ধতির সঙ্গে কাজ করে সেটিই ছিল গবেষকদের মূল বিষয়। কয়েক হাজার পুরনো মোবাইল ফোন কলের কথাবার্তা থেকে এগুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন এই তিন গবেষক।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম নেওয়া ৭১ বছর বয়সী ড. হিন্টন ১৯৭০ সাল থেকে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তখন তিনি স্নাতকের শিক্ষার্থী। তবে একসময় এআই নিয়ে গবেষণার পথে অনেক বাধার সম্মুখীনও হয়েছেন তিনি। এমনকি তার পিএইচডি গবেষকও তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন।
অবশেষে ‘নিউরাল কম্পিউটেশন অ্যান্ড অ্যাডাপ্টিভ পারসেপশন’ শীর্ষক গবেষণায় ২০০৪ সালে ড. লিকুন ও ড. বেনজিও’র সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেন ড. হিন্টন। আশির দশকের শেষের দিকে ও ১৯৯০ সালের শুরুতে নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে ভালোভাবে কাজ শুরু করে গবেষক দলটি। পরবর্তী সময়ে ড. হিন্টন ও ড. লিকুন এটিঅ্যান্ডটির বেল ল্যাবে হাতের লেখা ও নম্বর নিয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কের বিষয়ে বাড়তি গবেষণায় মনোযোগী হন। সেই সময় তাদের তৈরি ব্যবস্থায় আর্থিক সহায়তা দেয় এটিঅ্যান্ডটি। সেটি তারা পরে একটি ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দেয়। গবেষকদের তৈরি করা ওই পদ্ধতি হাতে লেখা চেক দ্রুত মেশিনের সহায়তায় পড়া যেতো।
২০১০ সালে ড. হিন্টন ও তার শিক্ষার্থীরা মাইক্রোসফট, আইবিএম, গুগলকে স্পিচ রিকোগনিশনের বিষয়ে সহায়তা করেন। তাতে প্রতিষ্ঠানগুলো ইমেজ রিকোগনিশন নিয়েও কাজ শুরু করে।