শরীর ও মস্তিষ্কে স্মার্টফোনের আলোর প্রভাব
১ min read
আমাদের স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের স্ক্রিন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী নীল আলো তৈরি করতে সক্ষম হয়। স্ক্রিনের মধ্যে থাকা এই আলো এতটা উজ্জ্বল যে, আমরা রৌদ্রজ্জ্বল দিনেও তা দেখতে পাই। রাতে তা আরো বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আর তাই রাতের বেলা অবশ্যই স্ক্রিনে চোখ রাখা বন্ধ করতে হবে, রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ব্যবহার খুব ভয়ানক একটি ধারণা।
আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই একটি চক্র অনুসরণ করে চলে যা আমাদের সতর্ক রাখে, দিনের বেলায় জেগে থাকতে সহায়তা করে ও রাতের বেলা প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে সহায়তা করে। কিন্তু যখন ঘুমের প্রস্তুতির সময় যখন আপনি স্ক্রিনে চোখ রাখেন তখন মস্তিষ্ক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্ত হয়।
স্ক্রিনে থেকে নির্গত নীল আলোর সঙ্গে সকালের সূর্যের আলোর অনুরুপ প্রভাব রয়েছে, যা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এটি এমন একটি হরমোন যা শরীরকে সময়মতো ঘুমাতে ইঙ্গিত দেয়। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের আলো মেলাটোনিন উৎপাদন ব্যাহত করে স্বাভাবিক ঘুম চক্র নষ্ট করে দেয়। মেলাটোনিন মাত্রা পরিবর্তনের ফলে মানুষের দেহঘড়ির সময়ের হিসেবে গণ্ডগোল হয়। ফলে বিষণ্ণতাসহ নানা মানসিক সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনিদ্রার অভ্যাস হয় এবং যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের নীল আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি করে। এ নীল আলোতে বেশি সময় থাকলে তা চোখের ‘সেন্ট্রাল ভিশন’ নষ্ট করতে পারে। এক্ষেত্রে চোখের কাছে নিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। প্রোস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বাড়ায়।
নিচের ছবি থেকে দেখে নিন, রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোনের স্ক্রিনের আলো যেভাবে শরীর ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার