আদালতের পরীক্ষায় ‘জিরো’
১ min readশাহরুখ খান অভিনীত ছবি ‘জিরো’ ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে। আসন্ন ছবিটি ঘিরে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে এ ছবির সংশ্লিষ্টদের। ২৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ছবিটির গানের শুটিং চলাকালীন শুটিং সেটে আগুন ধরে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড বাদশা। জানা গেছে এ দুর্ঘটনায় খুব বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
টাইম নাউয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগুন লাগার পরদিনই মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট থেকে ‘জিরো’ ছবি প্রসঙ্গে ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ (সিবিএফসি)-এর কাছে একটি নির্দেশ আসে।
ওই নির্দেশে বলা হয়, ছবিটিতে শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো এমন কিছু আছে কি না তা ভালোমতো যাচাই-বাছাই করা হোক। ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই যাচাই-বাছাইয়ের ফলাফল আদালতে জমা দেওয়া জন্যও ‘সিবিএফসি’কে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
চলতি মাসের শুরুতে ছবিটির বিরুদ্ধে শিখদের ধর্মাবেগে ‘গুরুতর’ আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে আদালতে অভিযোগ এনে আবেদন করেন অমৃতপাল সিং খালসা নামের এক আইনজীবী।
এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের সাক্ষাৎকারে অমৃতপাল বলেন, ‘শাহরুখ অভিনীত আসন্ন ছবি জিরোতে বেশ কিছু আপত্তিকর দৃশ্য আছে। ছবির দৃশ্যে শাহরুখকে অন্তর্বাস পরে কোমরে কৃপাণ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শিখদের “কোড অব কনডাক্ট” অনুযায়ী কৃপাণ শুধু “অমৃতধারী” শিখরাই ধারণ করতে পারেন। আমি বলছি না যে, কেউ কৃপাণ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। যে কারোরই এটা ব্যবহার করার অধিকার আছে। কিন্তু “জিরো” ছবির দৃশ্যে আপত্তিকরভাবে কোমরে কৃপাণ যুক্ত করা হয়েছে, যা শিখদের ধর্মাবেগে আঘাত করেছে। ব্রিটিশদের সময় এ কৃপাণের জন্য অসংখ্য শিখ তাদের জীবন ত্যাগ করেছেন। আর সেই কৃপাণ নিয়ে শাহরুখ হাস্যকর দৃশ্য ধারণ করেছেন! এটা তো হতে পারে না।’
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার ছবিটির নির্মাতা আনন্দ এল রায় হাইকোর্টকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে জিরো ছবির পোস্টার ও ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে। তাতে অভিনেতার কোমরে যুক্ত ছিল ছোট তলোয়ার। তার কোমরে কোনো ধরনের কৃপাণ ছিল না।’