গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা অবনতি
১ min readবাংলাদেশের নন্দিত গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ছেলে আহমেদ শাফি চৌধুরী জানিয়েছেন, তার মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওর। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ধানমন্ডির গ্রিন রোডের ওই হাসপাতালে।
তিনি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৫ বছর বয়সী এই গীতিকারকে বৃহস্পতিবার ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে নিবিড় পরর্চযা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে তার রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে রক্তের (বি পজেটিভ) প্রয়োজন পড়ে। তিনি অনেকদিন তিনি কিডনি ও স্নাযুজনিত জটিলতায় ভুগছেন। দুইবার স্ট্রোক করেন।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করা কাওসার আহমেদ চৌধুরী সৃষ্টিজীবনে লিখেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ফিডব্যাক, এলআরবি, মাইলস-এর মতো শীর্ষ ব্যান্ডসহ সামিনা চৌধুরী, লাকি আখান্দ, কুমার বিশ্বজিৎ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো স্বনামধন্য শিল্পীরা তার রচিত গান গেয়েছেন। তিনি জ্যোতিষী হিসেবেও বেশ পরিচিত।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় কয়েকটি গানের মধ্যে রয়েছে ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’, ‘মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি’, এক ঝাঁক প্রজাপতি ছিলাম আমরা’ ও ‘এলোমেলো বাতাসে’।