এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১২:৩০ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

বিদেশি সিরিয়াল বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

১ min read

দেশে বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

বিদেশি সিরিয়াল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি সিরিয়াল আমাদের দেশে দেখছে। এটা সঠিক। এজন্য যেসকল বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো একটি কমিটির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর এধরণের সিরিয়াল বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে প্রদর্শন করতে হয়।

বাংলাদেশের টেলিভিশন পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর আপনি যদি, ত্রিপুরায় যান- দেখতে পারবেন সেখানের বাংলাদেশের সব চ্যানেলগুলো চলছে। আপনি যদি গুয়াহাটিতে যান সেখানে দেখতে পারবেন যে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি চ্যানেল প্রদর্শিত হয়। এখানে দু’দেশের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। ভারত সরকারের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা উচ্চ ফি দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগের সিনেমা হলে মানুষ যেতে চায় না। সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই আধুনিকায়ন জন্য আমি সিনেমা হলের মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তার সঙ্গে আলোচনা পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সিনেমা হল যাতে বৃদ্ধি পায়, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, একথা সত্য যে, হল কমে গেছে, আকাশ সংস্কৃতির কারণে এবং আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা, টেলিভিশন এবং একই সাথে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ নানান কিছু কারণে মানুষ আগের মতো এখন আর হলে যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপট। বোম্বে শহর, যেটাকে চলচ্চিত্রের রাজধানী বলা হয়, গত ১০ বছরে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে স্বর্ণালী তিন ছিলো। সেই দিন ফিরে আনার জন্য ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য যে অনুদান, সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। অনুদানের অংকও আমরা বাড়িয়েছি। আগে কর্মাশিয়াল ছবিতে অনুদান দেয়া হতো না, এখন আর্ট ফিল্মের পাশাপাশি কর্মাশিয়াল ছবিতেও অনুদান দেয়া হচ্ছে। আর অনুদানের টাকায় ভালো ভালো ছবি নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও পেয়েছে।

চলতি বছরে ২০টি ছবিতে অনুদান দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০টি পূর্ণ দৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেয়া হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে শিল্পীরা সব সময় অনুদান পায় না। কদাচিৎ দুই একটা অনুদান পেয়েছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পায় না। আবার অনেকের গাড়ি আছে, কিন্তু তেলের অভাবে গাড়িও চালাতে পারেন না। এমন ঘটনাও আছে। সেজন্য এই বিল ((বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০২১ ) আনা হয়েছে।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!