রেকর্ড গড়েও হারল বাংলাদেশ
১ min readট্রেন্ট ব্রিজ ব্যাটিং স্বর্গ হলেও ৩৮২ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষকে সম্ভব করতে পারল না বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে হেরে সেমি ফাইনালের পথটা কঠিনই করে ফেলল মাশরাফি বিন মুর্তজারা।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান করে বাংলাদেশ। যা টাইগারদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। কিন্তু এই রেকর্ড রানও হার ঠেকাতে পারল না।
এত বড় লক্ষ্যের জন্য বড় জুটির প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ১২৭ রানের জুটি ছাড়া আর কোন বড় জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। হ্যাঁ, তামিম-সাকিবের ৯২ রানের জুটিটিও ছোট ছিল না। কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বাংলাদেশের ইনিংসটাই শুরু হয়েছে দুর্ভাগ্য দিয়ে। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে দলীয় ২৩ রানের মাথায় রান আউট হন সৌম্য সরকার (১০)।
সৌম্যর বিদায়ের পর তামিমের সাথে যোগ দেন দারুণ ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান। টানা ৫ ইনিংসে পঞ্চাশ বা ততোর্ধ্ব রান করা সাকিব আজ আউট হয়ে যান ৪১ রানে।
অপর প্রান্তে তামিম অবশ্য বেশ সাবলীলই ছিলেন। আসরে প্রথমবারের মতো নিজেকে মেলে ধরেন বা-হাতি এই ওপেনার। মুশফিকের সাথে গড়েন ৪২ রানের একটি জুটি। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার কিছু পরই মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের একটি তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ফলে ৬২ রানেই থেমে যায় তামিমের ইনিংস।
মাঠে নামেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা এই তরুণ আজও মারমুখী হয়ে খেলেন। তবে আজকের ইনিংসটি খুব বেশি দীর্ঘ করতে পারেননি তিনি। মাত্র ২০ রানই করেন তিনি। ১৭৫ রানে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এই অবস্থায় জুটি গড়েন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। দলের বিপর্যয় সামলিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যান তারা। কিন্তু আস্কিং রানরেটের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে একসময় আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। দলীয় রান তখন ৩০২। ৩টি ছক্কা ও ৫টি চারে সাজিয়ে ৫০ বলে ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হয়ে যান সদ্য নামা সাব্বির রহমান (০)। তার কিছুক্ষণ পর আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজও (৬)। একপ্রান্তে অবশ্য মুশফিক দারুণ লড়াই করে যান। ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০১* রানে। অন্যপ্রান্তে মাশরাফি বিন মুর্তজা ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৬ রানে।