এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

মধুসূদনের লেখনীতে আছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব

১ min read

কালজয়ী সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতে ফুটে উঠেছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব। মধুসূদন দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত ‘মধুমেলা’ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রতি উৎসর্গীকৃত শ্রদ্ধাস্মারক ‘মধুমেলা’ করার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করি, এ শ্রদ্ধাস্মারক কবির অনন্য সাহিত্য প্রতিভা ও দেশাত্ববোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের কথা জেনে সন্তোষ প্রকাশ এবং এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মধুমেলা-২০১৯’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ মাইকেল মধুসূধন দত্ত বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার অনন্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। পুরাতন ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে তিনি (মধুসূদন) বাংলা সাহিত্যকে নবজীবন দান করেন। তিনি আমাদের বিচিত্র কাব্যসম্ভার উপহার দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের পথিকৃৎ। বিশ্ব সাহিত্যের ভান্ডারে প্রবেশ করে মণি-মুক্তা আহরণ করে তিনি (মধুসূদন ) বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্র্যাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলা প্রেসিডেন্সির যশোর জেলার (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার) সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে মধুসূদন দত্তের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন রাজনারায়ণ দত্ত ও তার প্রথমা পত্নী জাহ্নবী দেবীর একমাত্র সন্তান। রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার সদর দেওয়ানি আদালতের এক খ্যাতনামা উকিল।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!