২০৪০ সালের মধ্যে দেশ তামাকমুক্ত হবে
১ min read
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৩০ মে, বুধবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘তামাক করে হৃৎপিণ্ডের ক্ষয়: স্বাস্থ্যকে ভালোবাসি, তামাককে নয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়। এসব সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি। তাই তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার তামাকের ভয়াল থাবা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধি জারি করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়মূল্যের ওপর ১ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি-২০১৭ অনুমোদন করা হয়েছে। শিশুদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি এবং এ কর কাঠামোকে সহজ করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।’
আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমে কমিয়ে আনা সম্ভব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। তামাক সেবনের কোনো সুফল নেই—মানুষের কাছে এই বার্তা নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য সরকার, বেসরকারি সংগঠনসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।