মে ১০, ২০২৪ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত

১ min read

সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া ১৩০টি কারখানা চালু হবে। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলতে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে আসাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখান আগামীকাল থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজে আসবেন তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।

এর আগে রোববার (১২ নভেম্বর) পোশাক কারাখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছু দিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে পোশাকশ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছে প্রথমত তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য একটি অংশের এই হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পোশাক শ্রমিকদের এ নতুন মজুরি ঘোষণা করেন। তার আগে শ্রম ভবনে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গঠিত বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় এই মজুরি চূড়ান্ত করা হয়। এসময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বর্তমান ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫শ করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। মজুরি বৃদ্ধির এ হার আগের তুলনায় ৫৬.২৫ শতাংশ বেশি।

এছাড়া শ্রমিকদের জন্য বেতন গ্রেড ৭টি থেকে কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করা হয়। শ্রমিকরা মোট বেতনের ৬৩ শতাংশ পাবেন বেসিক হিসেবে। পাশাপাশি প্রতিটি পরিবার পাবে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!