পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
১ min read
অর্থপাচারের অভিযোগ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলায় পি কে হালদারের (প্রশান্ত কুমার হালদার) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ০২ ডিসেম্বর, ২০২০ বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
অর্থপাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পিকে হালদারকে দেশে ফেরানো এবং গ্রেফতারের বিষয়ে দুই মাস আগে করা গ্রেফতারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরোয়ানা জারি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা এজাহারের ফটোকপি এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা আবেদনের কপি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদককে এসব তথ্য-উপাত্ত আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেছিল আইএলএফএসএল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন, পিকে হালদার কবে, কখন, কীভাবে দেশে ফিরতে চান তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে। পরবর্তীতে পিকে হালদারের দেশে ফেরার বিষয়ে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্টকে জানায়।
পিকে হালদারের প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল’র পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটেছেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
হাইকোর্ট সার্বিক দিক বিবেচনার পর পিকে হালদারকে দেশে ফেরার অনুমতি দেন। একই সঙ্গে পিকে হালদার দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের আইজি এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি কারাগারে থাকাবস্থায় পিকে হালদার যেন অর্থ পরিশোধের সুযোগ পান সে বিষয়ে সুযোগ দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়।