বিপুল রাসায়নিক ও প্লাস্টিক নিয়ে সাগরে ডুবল লঙ্কান জাহাজ
১ min readশ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলে দুই সপ্তাহ আগুনে পোড়ার পর ডুবে গেছে পণ্যবাহী জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ। জাহাজে থাকা কয়েক শ টন রাসায়নিক আর প্লাস্টিক উপাদান পানিতে মেশায় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাছে পরিপূর্ণ সাগরের ওই অংশ। এর ৫০ মাইল এলাকাজুড়ে মাছ ধরা আপাতত নিষিদ্ধ করেছে কলম্বো।
সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নৌকায় করে মাছ ধরা বন্ধ আছে। পানি দূষণ রোধে কাজ করছেন কয়েক হাজার সেনা।
গত ২০ মে আগুন লাগে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত জাহাজ এমভি এক্স-প্রেস পার্লে। অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলে অবস্থানরত জাহাজটিতে ১ হাজার ৪৮৬টি কনটেইনার ছিল। এসব কনটেইনারে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও প্রসাধন পণ্যের পাশাপাশি ছিল ২৫ টন নাইট্রিক অ্যাসিড।
রাসায়নিকে বোঝাই কনটেইনারে আগুন লাগলে এসবের বেশকিছু পানিতে পড়ে যায়। ১৪ দিন পর বুধবার জাহাজটি ডুবতে শুরু করে।
শ্রীলঙ্কার মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন, এক উদ্ধারকর্মী জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দড়ি বেঁধে সেটিকে তিরের দিক থেকে সরিয়ে গভীর পানিতে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে কাজ না হওয়ায় কয়েক ঘণ্টা পর সে চেষ্টা বন্ধ করা হয়। এর পরই সাগরের তলদেশে প্রায় ৭৩ ফুট গভীরে তলিয়ে যায় জাহাজটি।
শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ইন্ডিকা ডি সিলভা জানান, সাগরে তেল ও রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়া রোধে কাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী।
গত ১৫ মে ভারতের হাজিরা বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি এক্স-প্রেস পার্ল। শ্রীলঙ্কার সাগরে অন্যতম ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এই পরিবেশ দুর্যোগের ফলে জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তটস্থ স্থানীয় বাসিন্দারা।