প্রশিক্ষণরত সৌদি আরবের ২১ জন সামরিক ক্যাডেটকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে ফ্লোরিডায় একটি নৌঘাঁটিতে সৌদি বিমানবাহিনীর এক ক্যাডেটের গুলিতে তিন মার্কিন নাবিক নিহত ও আটজন আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
সৌদি বিমান বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সায়েদ আল সামরানি (২১) গত ডিসেম্বর ডেপুটি শেরিফের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে গুলি করে তিন মার্কিন নাবিককে হত্যা ও আট জনকে আহত করেন। বহিস্কৃত ২১ ক্যাডেটের ওই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি এবং মার্কিন বিরোধী মনোভাবের প্রমাণ মিলেছে, যা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বার বলেন, ৬ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় জড়িত সৌদি সেনা কর্মকর্তার ব্যবহৃত আইফোন আনলক করতে আমরা অ্যাপলের সহায়তা চেয়েছিলাম। অ্যাপেল বন্দুকধারীর আইফোন থেকে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (এফবিআই) আইক্লাউড তথ্য দিয়ে তদন্তে সহায়তা করেছে। তবে তারা আইফোন আনলক করতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ করে, হামলাকারী জিহাদি আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তিনি হামলার দু’ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিহাদি বার্তাও প্রকাশ করেছিলেন।
বার আরো বলেন, ওই ২১ ক্যাডেট সদস্যকে তাদের প্রশিক্ষণ থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে সৌদি সরকার। তদন্তে দেখা যায়, এদের মধ্যে অনেকেই শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন। এছাড়া কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কিনবিরোধী বার্তা প্রকাশ করেছেন। বহিষ্কৃত ক্যাডেটদের যুক্তরাষ্ট্রে অন্য কোনো অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে তারা দেশে ফিরে আইনের মুখোমুখি হতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ৮৫০ জনেরও বেশি সৌদি সামরিক ক্যাডেট প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পেনসাকোলা নৌঘাঁটি বিদেশী সামরিক বাহিনীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সৌদি পাইলটরা ১৯৯৫ সাল থেকে এখানে প্রশিক্ষণ নেয়।
আরো পড়ুন
পুলিশের গুলিতে আহত ওড়িশার মন্ত্রীর মৃত্যু
২ লাখ বাংলাদেশির বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া
বিজ্ঞাপনমুক্ত টুইটার অ্যাকাউন্টের ঘোষণা মাস্কের