আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বৈঠকে ট্রাম্প ছায়া
১ min read
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিকে সংকোচনের পথ থেকে সরাতে এবং মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে বৃহত্তর সমর্থন প্রকাশের প্রত্যাশায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ঘরের আঙিনায় সমবেত হচ্ছেন সারাবিশ্বের আর্থিক খাতের নেতারা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন এই বৈঠক দুই সংস্থার সদস্য ১৮৯ দেশের নীতি-নির্ধারকদের প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মুখোমুখি করছে। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দপ্তর-বাসভবন হোয়াইট হাউজের মাত্র দুই ব্লক দূরে মিলিত হচ্ছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার নীতিগুলো আন্তর্জাতিক এজেন্ডাগুলোতে কী প্রভাব ফেলবে তা-ই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বৈঠকগুলোর মূল আলোচনায় থাকবে বলে মনে করছেন কানাডীয় থিংকট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল গভারনেন্স ইনোভেশনে কাজ করা ডোমেনিকো লোমবারডি।
আইএমএফ বোর্ডের সাবেক এই কর্মকর্তা বলছেন, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে আইএমএফের নীতি ও এজেন্ডার সঙ্গে মেলাতে চাইছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানিতে কড়াকড়ির যে পরিকল্পনা ট্রাম্প করেছেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে আইএমএফ। সংকোচনমূলক নীতি ঠিক জায়গায় আসতে শুরু করা বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে কক্ষচ্যুৎ করতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে তারা।
অন্যান্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বেশি সংকোচনবাদী অজুহাত দিয়ে ওই সতর্ক বার্তাকে পাশ কাটাতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ট্রাম্প এই সপ্তাহ শুরু করেছেন ‘বাই আমেরিকান’ নির্বাহী আদেশ সইয়ের মধ্য দিয়ে, যাতে সরকারি ক্রয় নীতিমালা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। এই নীতিতে এতদিন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় কিছু ছাড় ছিল। সপ্তাহের শুরুতেই কানাডীয় ডেইরির ওপর খড়গহস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
বাণিজ্য নিয়ে সতর্কবাণীর পাশাপাশি আইএমএফ বুধবার দুটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, যাতে ট্রাম্পের বিবেচনায় থাকা বাজেট প্রস্তাবের বিপজ্জনক দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী তার কর সংস্কারের ভাবনা আর্থিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং সরকারি ঋণ বেড়ে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে মতভিন্নতা নিয়ে শুরু হতে যাওয়া এই বৈঠকের আগে লগার্ড বলেন, আইএমএফ তার সব সদস্যের কথা শুনবে এবং ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ বাণিজ্যের জন্য কাজ করবে।