মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা একটি কমিশন গঠন করার আহবান জানিয়েছেন। আর এ সংক্রান্ত একটি বিলে ১৭০ জন আইনপ্রণেতা পূনরায় স্বাক্ষর করেছেন বলে দ্য হিলের প্রতিবেদনে জানানো হয়। নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গত বছর ডিসেম্বরে বিলটি প্রথম উত্থাপন করা হয়। এখন এই বিলটিকে সকল ডেমোক্রেটিক সদস্যদের অনুমোদনের জন্য পুন:উত্থাপন করেছে ডেমোক্রেটিক ইলিয়াস ক্যুমিংস এবং ইরিক সোয়ালওয়েল।
ক্যুমিংস একটি লিখিত বিবৃতিতে জানায়, ‘গতকাল আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার জ্যোষ্ঠ নেতারা রাশিয়া মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।’ হস্তক্ষেপটি রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের সদস্যদের কাছে যুদ্ধের সমতুল্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ভয়াবহ হুমকিটি তদন্তের জন্য একটি সত্যিকারের দ্বিদলীয় ও স্বাধীন কমিশনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি ১২ সদস্যের কমিটি নিয়োগ করা হবে যার মধ্যে হাউজ ও সিনেটের প্রতিটি দলের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা নিযুক্ত থাকবেন বলে জানায় ক্যুমিংস। এই তদন্তের ফলাফলের জন্য ১৮ মাস প্রয়োজন হবে বলেও জানান তিনি।
ইরিক সোয়ালওয়েল এক বিবৃতিতে জানান, বিলটিতে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। তারা বিলটিতে রিপাবলিকানদের অনুমোদন পাওয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
সোয়ালওয়েল বলেন, বিষয়টি শুধু দল নিয়ে নয়, এটা পুরো দেশের ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু না করলে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হওয়ার জন্য দেশটির মানুষরাই ইচ্ছে করে পথ খোলা রেখেছে বলে বিশ্ববাসীর কাছে ধারণা জন্মাবে।
আরো পড়ুন
আবারও পড়ে গেলেন জো বাইডেন
সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছেন মিয়ানমারের সৈন্যরা
সমালোচনা করায় এবার সংগীত শিল্পীকে গ্রেপ্তার করলো মিয়ানমার জান্তা