যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি চিকিৎসকদের মাঝে
১ min read
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত মানুষের মাঝে আত্মহত্যার হার সবচাইতে বেশি।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট আইএফএলসায়েন্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ওই গবেষণার তথ্য। গবেষণাটি এখনো কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি তবে দি আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ গবেষণায় দেখা যায়, যেসব চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন তাদের অনেকেরই ডিপ্রেশন বা অন্য কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা ছিল। তারা এসব সমস্যার চিকিৎসা নেননি বা অপ্রতুল চিকিৎসা নিয়েছিলেন। মূলত, চিকিৎসক হয়েও তার মানসিক সমস্যা আছে- এই লজ্জা থেকেই তারা সঠিক চিকিৎসা নেন না। একটি সময়ে মানসিক সমস্যায় ডুবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তারা।
বিগত ১০ বছরে আত্মহত্যার ওপরে করা সকল গবেষণা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতি ১ লাখ চিকিৎসকের মাঝে ২৮ থেকে ৪০ জন আত্মহত্যা করেন। সাধারণ মানুষের মাঝে আত্মহত্যার হার এর অর্ধেকেরও কম, প্রতি লাখে ১৩ জন। প্রতি বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ জন চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রে। সামরিক বাহিনীতে কর্মরত চিকিৎসকদের মাঝে আত্মহত্যার হার আরও বেশি হতে দেখা যায়।
চিকিৎসকদের আত্মহত্যার হার এত বেশি কেন, তার পেছনের কারণটি বের করার চেষ্টা করেন গবেষকরা। অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে, ডাক্তারদের মাঝে ডিপ্রেশন বা অন্য মানসিক সমস্যার হার সাধারণ মানুষের চাইতে বেশি নয়, একই রকম। কিন্তু এ সমস্যার চিকিৎসা নেবার ব্যাপারে ডাক্তারদের মাঝে বেশি অনীহা কাজ করে।
গবেষকরা দেখেন, মানসিক সমস্যা নিয়ে সর্বত্রই একটি অনীহা কাজ করে। মানসিক সমস্যাকে সমাজে ভালো চোখে দেখা হয় না, এ কারণে ডাক্তাররাও নিজের মানসিক সমস্যা নিয়ে কুণ্ঠাবোধ করেন। তারা নিজের কাছেই স্বীকার করতে চান না যে তার মানসিক সমস্যা আছে। ফলে এর চিকিৎসাও নেন না তারা।
তাদের আত্মহত্যার হার বেশি হবার আরেকটি কারণ হলো, তারা ভালো করেই জানেন কোন উপায়টি ব্যবহার করলে মৃত্যু নিশ্চিত। সাধারণ একজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও পদ্ধতিতে ভুল থাকার কারণে বেঁচে যেতে পারেন। কিন্তু একজন চিকিৎসক নিশ্চিত মৃত্যু হবে এমন পদ্ধতিই বেছে নেন।