বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নাগরিকরা
১ min read
বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন সিরিয়ার নাগরিকরা, জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বেসামরিক নাগরিকরা বের হতে পারছেন না। এর অন্যতম কারণ হলো, সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো ইতোমধ্যেই শরণার্থীদের চাপে জর্জরিত। এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ এপ্রিল, সোমবার এসব কথা জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিব শহরটিকে লক্ষ্য করে যদি সিরিয়ার সেনাবাহিনী আক্রমণ চালায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সিরিয়ার ঘৌতা, রাক্কা এমনকি আলেপ্পো শহরের চাইতেও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। রয়টার্সকে গ্রান্ডি বলেন, ‘দেশটি একটি ফাঁদ হয়ে উঠেছে, কিছু জায়গায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মৃত্যুফাঁদে রূপান্তরিত হয়ে উঠেছে।’ তিনি দাবি করেন, এত বিপুল পরিমাণ শরণার্থীর দুর্দশা বর্তমান সময়ের অন্যতম এক সংকট।
গ্রান্ডি বলেন, ‘সিরিয়ার অন্যান্য শহর থেকে ইদলিবে পালিয়ে গেছে যোদ্ধারা। ওই এলাকায় আক্রমণ হলে তা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য় খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।’
ওই এলাকায় হামলা হলে নাগরিকরা দেশ ছেড়ে পালাতেও পারবে না, কারণ ইদলিবসংলগ্ন তুর্কি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে। গ্রান্ডি আশঙ্কা করছেন, জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিহত হতে পারে ইদলিবে। গত মাসে দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা) জানিয়েছে, ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় পাঁচ লাখ ১১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
৫৫ লাখ সিরিয় শরণার্থী ইরাক, জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। ৬১ লাখ মানুষ এখন সিরিয়ায় আছে, তাদের পালিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক দাতাদের থেকে ৫৬০ কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
তবে এই অনুদান সিরিয়ায় যাবে না, বরং জর্ডান, ইরাক, মিশর ও লেবাননে শরণার্থীদের সাহায্যে ব্যয় হবে।