অসম্ভব ধ্যান-ধারণা ও গৎবাঁধা নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই পেশাদার একজন বডি বিল্ডার হয়ে উঠেছেন মাজিজিয়া ভানু।
ভারতের কেরালা রাজ্যে বসবাসকারী ২৩ বছর বয়সী মাজিজিয়া পড়ালেখা করছেন দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে। তার পাশাপাশি তিনি একজন পেশাদার বডি বিল্ডারও। হিজাব পরেই তিনি শারীরিক কসরত করেন। আর এই পোশাকেই ওজন উত্তোলন করে জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কারও। তবে জয়মাল্যে যুক্ত হওয়া সকল পুরস্কারকে ছাপিয়ে গেছে তার সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া পুরস্কারটি।
২৫ ফেব্রুয়ারি বডি লিফটিং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মি. কেরালা প্রতিযোগিতায় মাজিজিয়া জিতে নিয়েছেন ‘বেস্ট ওম্যান ফিটনেস ফিজিক’ পুরস্কার। নিজের এমন অর্জনে দারুণ উৎফুল্ল মাজিজিয়া বলেন, ‘আমি খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম যখন বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় এই পুরস্কারটি জিতলাম।’
এনডিটিভি কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাজিজিয়া বলেন, ‘একেবারে হুট করেই বডি বিল্ডিং এর সাথে জড়িয়ে পড়েছি। এক্ষেত্রে আমার বাগদত্তা আমাকে সবসময় সাহস ও সমর্থন জুগিয়েছেন। প্রথমদিকে আমি বডি বিল্ডিং নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতাম। কারণ আমার ধারণা ছিল বডি বিল্ডার হলে আমাকে নিজের শরীর প্রদর্শন করতে হবে। কিন্তু আমার বাগদত্তা মিশরসহ বিভিন্ন দেশের হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারী বডি বিল্ডারদের ছবি দেখালেন। এরপর আমার মনে হলো, আমিও করতে পারবো।’
সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে মাজিজিয়া বলেন, ‘আমি হিজাব পরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং জীবনে যা চাই সেটা করার চেষ্টা করছি। আমার বাবা-মায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমার ও আমার বাগদত্তার পাশে সবসময় ছিলেন। প্রতিটি নারীর উচিত নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কাজ করা।’
দারুণ প্রতিভাবান এই বডি বিল্ডার ইতোমধ্যেই স্টেটস পাওয়ারলিফটিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে তিনবার ‘স্ট্রংগেস্ট ওম্যান অব কেরালা’র পদক জিতে নিয়েছেন। অথচ তিনি পাওয়ার-লিফটিং ট্রেইনিং শুরু করেছেন ২০১৬ সালের একেবারে শেষের দিকে!
মাজিজিয়ার জিম প্রশিক্ষক বলেন, ‘সে একজন পুরুষের মতোই পরিশ্রম করে। এমনকি অনেক পুরুষরাও তার মতো পরিশ্রম করতে পারে না। সে তার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে। এটা অবশ্যই সচরাচর দেখা যায় না যে একজন নারী হিজাব পরে জিমে ট্রেইনিং করছে। কিন্তু তিনি সকল প্রতিবন্ধকতা পার করেই এগিয়ে যাচ্ছেন।’
আরো পড়ুন
নিউজিল্যান্ডে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
অ্যামোলেড ডিসপ্লের স্মার্টফোন কেন সেরা?
লোগো পরিবর্তন করলো নোকিয়া