ঠাণ্ডা লাগলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না
১ min read
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠাণ্ডা, কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক নয়, বরং সাধারণ কফ সিরাপ ও মধুর মতো ঘরোয়া প্রতিকারগুলোই ব্যবহার করা উচিত। কারণ ঠাণ্ডা-কাশির মতো উপসর্গ কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক আসলে তেমন কাজ করে না। হালকা ঠাণ্ডা-জ্বর দেখা দিলে অনেকে ডাক্তার না দেখিয়ে নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু তা একেবারেই অনুচিত ও অপ্রয়োজনীয়। বেশিরভাগ সময়ে ঠাণ্ডা-জ্বর নিজে থেকেই সেরে যায়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সেলেন্স এবং পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সে দেশের ডাক্তাররা রোগীদের ঠাণ্ডা-জ্বর হলেই আর নির্দ্বিধায় অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবেন না। তাদেরকে চায়ের সাথে মধু (সাথে লেবু ও আদা) মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তারা সহজলভ্য কফ সিরাপও গ্রহণ করতে পারেন। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, তারা যেন এসব উপায়ে ঘরে বসেই ঠাণ্ডা-জ্বর ও কাশি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এতে যদি উন্নতি না হয়, তাহলেই ডাক্তারের কাছে যেতে বলা হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা-জ্বর হয় ভাইরাসের কারণে। এই ভাইরাস অ্যান্টিবায়োটিক খেলে যায় না। বরং তা কিছুদিন পর নিজেই সেরে যায়। তা সত্ত্বেও বেশিরভাগ ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক দেন রোগীকে। এমনকি অনেক রোগী ডাক্তার না দেখিয়ে নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক খান। এ কারণে সারা বিশ্বে বড় একটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার নাম অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্সের কারণে ভবিষ্যতে এমন একটি সময় আসতে পারে যখন কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই আর কাজ করবে না। ছোটখাটো অসুখেই মানুষ মারা যাবে। এ অবস্থাটিকে অনেক ডাক্তার ‘পোস্ট-অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাপোক্যালিপস’ বলে অভিহিত করেন। এ কারণেই ছোটখাটো অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধের দিকে জ্বর দেওয়া হচ্ছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জরুরী হয়ে ওঠতে পারে। যদি ডাক্তার আশঙ্কা করেন ঠাণ্ডা-জ্বরের পেছনে অন্য কোনো বড় কারণ আছে, বা রোগীর যদি অন্য কোনো রোগ থাকে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে।
সূত্র: বিবিসি