কাজ নিয়ে উদ্বেগ হৃদযন্ত্রের ক্ষতির কারণ
১ min read
কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন, তার পরিধি যেন কর্মক্ষেত্র না ছাড়ায়। কারণ কাজের চাপ কর্মস্থলের বাইরে পর্যন্ত বয়ে আনলে লাভ কতটা হবে, তা কাজের ওপর নির্ভর করে, কিন্তু যে ক্ষতি হবে তা মারাত্মক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রের বাইরে বয়ে আনা কাজের চাপ অর্থাত্ কাজ নিয়ে উদ্বেগ হয়ে উঠতে পারে হূদযন্ত্রের ক্ষতির কারণ। খবর এনএইচএস ইউকে।
লন্ডনভিত্তিক অফিসকর্মীদের ওপর চালানো এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা গেছে, যারা সার্বক্ষণিক কাজের চাপে ভোগেন, তাদের মধ্যে চাপ ও উদ্বেগজনিত হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব সারে, ইতালিভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব পিসা এবং নরওয়েভিত্তিক লিলেহ্যামার ইউনিভার্সিটি কলেজ ও অসলো ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশ হয়েছে ফ্রন্টিয়ার্স অব হিউম্যান নিউরোসায়েন্স জার্নালে।
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল, কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত ভাবনা মানুষের হূত্স্পন্দনের গতির ওপর কতটা প্রভাব ফেলে। তারা দেখতে চেয়েছিলেন, কর্মজীবীদের দুর্বল স্বাস্থ্যের পেছনে আসলে কোনটি দায়ী— অতিরিক্ত কাজ, নাকি কাজ নিয়ে সার্বক্ষণিক দুর্ভাবনা?
লন্ডনের ২০ থেকে ৬২ বছর বয়সী ১৯৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে এ গবেষণা দাঁড় করিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণায় অংশ নেয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ।
গবেষণার জন্য অংশগ্রহণকারীদের সাক্ষাত্কার নেয়া হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় নেয়া এসব সাক্ষাত্কারে তাদের কর্মক্ষেত্র, কাজের চাপ ও অফিসের বাইরে কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়। এর পর সবার হূত্স্পন্দনের গতি পরীক্ষা করে দেখা হয়।
সার্বিক কার্যক্রম শেষে গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, যারা সার্বক্ষণিক কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপ বিরাজ করে সবসময়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে হূত্স্পন্দনের গতির ওপর। ফলে তাদের উচ্চরক্তচাপসহ হূদযন্ত্র-সংশ্লিষ্ট রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এসব ব্যাধি যে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।