প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক লীলাভূমি খাগড়াছড়ি
১ min readপ্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক লীলাভূমি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। দেশের দক্ষিণ-পূর্বকোণে এর অবস্থান। খাগড়াছড়ির উঁচু নিচু অসংখ্য পাহাড় আর পাহাড়ের বুকে নাম না জানা হাজারো গাছের সবুজ পাতায় সজ্জিত পাহাড়কে মনে হয় যেন সবুজের অভয়ারণ্য।
উঁচু-নিচু ঢেউ তোলা সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে কালো পিচের সর্পিল রাস্তা আর পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটকের মন কাড়বে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। পাহাড়, ঝর্ণা আর চা বাগান মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এখানকার সৌন্দর্য।
খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখেই রামগড় চা বাগান। আরেকটু এগুলেই মাটিরাঙ্গার রিছাং ঝর্ণা। তারপরেই রয়েছে আলুটিলার রহস্যময় সুরঙ্গ। মনকাড়া এসব পর্যটন কেন্দ্র যেমন আপনাকে আন্দোলিত করবে তেমনি ঈদে এনে দেবে বাড়তি আনন্দ।
৪০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এসব পর্যটন স্পট ঘুরে আপনি যেতে পারবেন জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে নয়নাভিরাম জেলা পরিষদ পার্ক, মায়াবীনি লেক, হেরিটেজ পার্ক। জেলা শহর ছাড়িয়ে পানছড়িতে রয়েছে শান্তিপুর অরণ্য কুটির। দীঘিনালার তৈদুছড়া আর হাজাছড়া হতে পারে এবারের ঈদে আপনার বিনোদনের জন্য সেরা পছন্দ। খাগড়াছড়ি ছাড়িয়ে আরও বিনোদনের প্রত্যাশায় আপনি পাড়ি জমাতে পারেন পাশের জেলা রাঙ্গামাটির সাজেকেও।
যেকোনো পর্যটককে খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মোহিত করবে। পাহাড়ের অবারিত সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় জীবন আচার আপনাকে নিয়ে যাবে ভিন্ন এক জগতে। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ খুব সহজেই আপন করে নিবে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণ পিপাসুদের। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সবুজে আবৃত খাগড়াছড়ির সতেজ প্রকৃতির হাতছানি। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়ি যেন মুখিয়ে আছে পর্যটকদের অপেক্ষায়।
বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে জেলা শহরের প্রায় সকল হোটেলেই অগ্রিম বুকিং দেয়া যায়। ঈদসহ অন্যান্য ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমনে মুখরিত হয় পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়ি। বছরজুড়ে পর্যটকের আনাগোনা থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে সেই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।