দেশে ফিরলেন ওবায়দুল কাদের
১ min readআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা শেষে ২ মাস ১০ দিন পর দেশে ফিরেছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ছয়টার কিছু আগে তাকে বহনকারী বিজি ০৮৫ ফ্লাইটটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই বিমানবন্দরে ভিড় করতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
দুপুর ২টায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে তাকে নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় বিমানটি। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী এবং কিছু সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।’
দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্তানের সংকটের সময় মা যেমন করে এগিয়ে আসে, আমার অসুস্থতার সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পরম মমতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তিনি একজন মমতাময়ী মা। তিনি সত্যিই মাদার অব হিউম্যানিটি। তার কাছে আমার ঋণের বোঝা আরও বেড়ে গেল। সবার দোয়ায় আমি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি।
বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের মানুষ এবং দলের সব নেতাকর্মীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যারা হাসপাতালে আমার ওই দুঃসময়ে ছুটে এসেছিলেন। ওই সময় আমার মধ্যে আমি ছিলাম না, আমি জানতাম না আমার কী হয়েছে। শুনেছি আমার জীবন ছিলো চরম অনিশ্চয়তার অন্ধকারের মধ্যে। আমি বাঁচবো কী বাঁচবো না সেই সংশয় ছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা। আমি জানতাম না তখন কী হয়েছিল। শুনেছি আপনজন যখন এই সময়ে কাছে এসে নাম ধরে ডাকে তখন নাকি মৃত্যুপথযাত্রীও সাড়া দেয়। মমতাময়ী শেখ হাসিনা যখন হাসপাতালে এসে আমার নাম ধরে ডেকেছেন তখন আমি সাড়া দিয়েছিলাম।’
কাদের আবারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর দোয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে এসেছি। আমার বাকি জীবন আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে সামিল থাকবো।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি কোরআন শরীফ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ হার্ট অ্যাটাকের পর ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৪ মে মুমূর্ষু অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়। ৫ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল ছাড়লেও সেখানে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেখানে থেকে তিনি ফলোআপ চিকিৎসায় ছিলেন।