ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কারাগারে
১ min read
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালত এ আদেশ দেয়। এদিন রংপুরের মামলায় মইনুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম প্রিয়.কমকে জানিয়েছিলেন, তাকে (মইনুল হোসেন) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টকশো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন; আপনি বলেছেন, আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেছিলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
পরে ১৬ অক্টোবর নারী সাংবাদিক ও সম্পাদকরা বিবৃতি দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এরপর তিনি দুঃখ প্রকাশ করে লিখিত ক্ষমা চাইলেও তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তারা।
২১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা হয় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে। মাসুদা ভাট্টি, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে করা মামলায় মইনুল হোসেন জামিন পেয়েছেন।