দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। মামলা দুটি হলো ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া।
৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট খুরশীদ আলম এবং মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু।
এর আগে গত ২১ জুন এ দুটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৪ জুন মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করে দেন।
এদিকে গত ২২ মে, মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন দুটি দাখিল করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ মামলাটি দুটির জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে অদেশ দেন। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ রানা প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ঢাকা সিএমএম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলায় আমরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছি। এর মধ্যে একটি হলো মানহানির অভিযোগ। অপরটি ভুয়া তথ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন। দুটি মামলার বিবাদীই হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত।’
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ভুয়া তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন করছেন এমন অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাজী জহিরুল হক বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
দণ্ডবিধির ১৯৮ ধারা উল্লেখ করে মামলাটি করেন এই সাংবাদিক। শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট ইস্যু) জারি করেন আদালত।
চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল জামিন আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেদিন আবেদনের শুনানি না করে ১৫ মে পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এদিনও আদালত খালেদা জিয়ার আবেদনের আদেশ দেননি। বরং পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ করা হয়।
আরো পড়ুন
যে ৫ খাবারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে
চোখ ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার সহজ উপায়
বাংলাদেশের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ সংসদে