প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪৪তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার কুইবেকের লা মালবাইয়ে আগামী ৮ জুন এ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ট্রুডো ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও অপর ১৫ বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণকে আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠেয় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের বিশেষ আউটরিচ অধিবেশনে কানাডা স্বাগত জানাবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অধিবেশনে সুস্থ মহাসাগর ও সমুদ্র তীরবর্তী জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধ জীবনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।
যেসব বিশ্বনেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা হলেন : জি-২০’র চেয়ারপারসন ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাওরিসিও ম্যাক্রি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চেয়ার অব দ্য ক্যারাবিয়ান কমিউনিটি (সিএআরআইসিওএম) ও হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসে, জ্যামাইকার প্রেসিডেন্ট এন্ডু হোলনেস, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইরো কেনেয়াত্তা, মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনি, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকে সল, সিসিলির প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফউরে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপসে, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নেগুয়েন উয়ান পিহুক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মহাপরিচালক ক্রিস্টিন লাগারডে, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাসচিব জোস এঞ্জেল গোরিয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জিওরগিয়েভা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘স্থিতিশীল উপকূল ও মানবগোষ্ঠী কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান ও বিজ্ঞান শেয়ার এবং টেকসই সমুদ্র ও মৎস্য শিকারে সহায়তার বিষয়ে আলোচনার জন্য এই নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানগণ জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারা সমুদ্রগুলোতে প্লাস্টিক এবং অবৈধ, গোপন ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য শিকারসহ নানা চ্যালেঞ্জের সর্বোচ্চ সমাধানের উপায় খুঁজে দেখবেন।’
ট্রুডোকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের সমুদ্রগুলো ও সমুদ্র উপকূলসমূহ ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক দূষণ, আরো ঘন ঘন ও মারাত্মক আবহাওয়াগত সমস্যা এবং অবৈধ, অজ্ঞাত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য শিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ হুমকির মধ্যে রয়েছে। বিকাশমান অর্থনীতির জন্য স্থিতিশলী উপকূলীয় গোষ্ঠী ও স্বাস্থ্যকর সমুদ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা সকলের জন্য ফলদায়ক এবং এ কারণে আমরা বিশ্বের সমুদ্রগুলো রক্ষার জন্য অন্যদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
কানাডার কুইবেক-এর লা মালবাইয়ে আগামী ৮ ও ৯ জুন ৪৪তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
জি-৭ এ রয়েছে- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এ সাতটি শীর্ষ অর্থনীতির দেশ বিশ্বের মোট সম্পদের (২৮০ ট্রিলিয়ন) ৬২ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরো পড়ুন
ভিসা পাননি ৪৪ হাজার হজযাত্রী
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা বাড়ছেই