গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ মে, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ও জাহাঙ্গীর আলমের করা আবেদনের শুনানির পর এ আদেশ দেওয়া হয়।
১৫ মে গাজীপুরে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা সুরাহা না করেই নির্বাচনের আয়োজন করায় এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ৬ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুলও জারি করা হয়। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ আদেশের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দাখিল করেন।
২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে গাজীপুর ও টঙ্গী পৌর এলাকাসহ সম্প্রসারিত পৌর এলাকা একীভূত করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যে প্রজ্ঞাপনে ঢাকা জেলাধীন সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ডোমনা, দক্ষিণ বাড়ৈবাড়ী, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল, শিবরামপুর ও ডোমনাগ মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়।
এই ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটির অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আপত্তি জানান শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ সেই আপত্তি আমলে না নেওয়ায় ২০১৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন আজহারুল ইসলাম। আদালত তার আপত্তি নিষ্পত্তি করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলেন। ২০১৬ সালে পুরাতন সীমানা অনুযায়ী শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলে আজহারুল ইসলাম সুরুজ পুনরায় নির্বাচিত হন।
চলতি বছরের ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ি, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।
আগামী ১৫ মে ভোটের দিন ধার্য করে গত ৩ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
নতুন করে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরেকটি রিট আবেদন দায়ের করেন ওই চেয়ারম্যান। আবেদনের শুনানি শেষে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এ আদেশের পরপরই গাজীপুর সিটি নির্বাচনসংক্রান্ত সব ধরনের কাজ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল হওয়ায় ২৮ জুনের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
আরো পড়ুন
বাংলাদেশে রমাদান শুরু হবে ২৪ মার্চ
অ্যামোলেড ডিসপ্লের স্মার্টফোন কেন সেরা?
‘প্রবাসে অপরাধ করলে দায়-দায়িত্ব নেবে না বাংলাদেশ’