মার্চ ২৫, ২০২৩ ১০:১৭ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ইউএস বাংলানিউজ, নিউইয়র্ক

অগ্রসর পাঠকের বাংলা অনলাইন

এমআরপি’র যুগ শেষ; আসছে ডিজিটাল পাসপোর্ট

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও প্রবেশ করতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট যুগে। আর এর মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) যুগ শেষ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে জার্মানির একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ পাসপোর্টের একটি ‘চিপ’ সহজ করে দেবে বিশ্বভ্রমণ। নিরাপত্তা চিহ্ন হিসেবে ই-পাসপোর্টে থাকবে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপ। আর এর পাতায় থাকা চিপসে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের নমুনা কপি অনুমোদন দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে।

দেশে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মালিক। প্রতিদিন গড়ে যে পরিমাণ পাসপোর্টের  আবেদন হচ্ছে সময়মতো পাসপোর্ট দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পাসপোর্ট অফিসগুলো। জানা গেছে, ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি চালু হওয়ার সময় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছিল সেগুলো দিয়েই এখনো কাজ চলছে। এসব যন্ত্রের অধিকাংশ বিকল। এক যন্ত্রের পার্টস অন্য যন্ত্রে বসিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে কাজ।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জার্মান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। জার্মানির প্রযুক্তি নিয়ে জিটুজির মাধ্যমে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করা হবে। ই-পাসপোর্ট শুরু হলে সেবার মান আরো বাড়বে। এতে জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে।

এর জন্য বিমান, স্থল ও নৌবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পেরিয়ে যাওয়া ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তি লাইনে না দাঁড়িয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন। এতে সময় ও ভোগান্তি কমবে।

অপরদিকে, এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট যাতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জলছাপের মাধ্যমে ছবির নিচে লুকায়িত থাকে। একই সঙ্গে এতে থাকে একটি ‘মেশিন রিডেবল জোন (MRZ)’, যা পাসপোর্ট বহনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বিবরণী ধারণ করে। এমআরজেড লাইনে লুকায়িত তথ্য শুধু নির্দিষ্ট মেশিনের মাধ্যমে পড়া যায়।

পাসপোর্ট করতে যারা আবেদন করেছেন তাদের বেশিভাগের অভিযোগ থাকে ভোগান্তির। বিশেষ করে পাসপোর্ট করতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসবির রিপোর্ট পেতে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এসবির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট করা সম্ভব নয়।

পাসপোর্ট অদিপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশের সব নাগরিকের স্মার্টকার্ড হয়ে গেলে এসবির রিপোর্ট ছাড়াও পাসপোর্ট হতে পারে। আর যদি সেটি হয় তাহলে পাসপোর্ট পেতে সময় অনেক কম লাগবে।

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!