পৌষের শেষ সময়ে শৈত্য প্রবাহের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ঘন কুয়াশায় শীতের সকালে যানবাহনের চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। চলমান এই তীব্র শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কর্মস্থল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি অনেকটা কমে এসেছে। এ ছাড়া বিশেষ কোনো জরুরি কাজ ছাড়া শীতের সকালে কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। আবহাওয়া অধিদফতর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রী ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ির জোনাকি আজিজ নামে এক কর্মজীবী নারী বলেন, আমার অফিস মতিঝিলে। তবে সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ সময় রাস্তায় যত গাড়ি ছিল সব হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে দেখেছি। তিনি বলেন, এর আগে ঢাকায় এত কুয়াশা দেখিনি।
আজমপুর থেকে মতিঝিলগামী বিআরটিসি বাসের যাত্রী সাঈদ বলেন, আমার অফিস সকাল নয়টায়। বাসা থেকে সাতটায় বের হয়ে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। কুয়াশার কারণে তখন রাস্তায় গাড়ি চলাচলও কমে গিয়েছিল। প্রায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িতে উঠতে হয়েছে আমাকে।
প্রায় প্রতিদিনই ঢাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় থাকছে কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বেলা ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। হিমশীতল ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা। দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধি। শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ছে শহরের পথস দুর্ভোগ। প্রচন্ড ঠান্ডায় কৃষক ও দিনমজুররা কাজ করতে পারছে না।
আরো পড়ুন
‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ
সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর; মুখ খুললেন মিথিলা
রাষ্ট্রদূতরা শর্তসাপেক্ষে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন