সিরিয়ায় স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ নিহত ৮
১ min readসিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র দেশের সেনারা এ হামলা চালায়। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ও অ্যাক্টিভিস্টের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার শেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের দক্ষিণের সারাকেব নামক শহরের পাশের জোবাস গ্রাম লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এছাড়াও সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ওই এলাকায় থাকা তুরস্কের একটি ‘অবজারভেশন পোস্ট’ দখল করে, তবে তাতে হামলা চালায়নি তারা।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গত সপ্তাহ থেকে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে হামলা শুরু করে। ব্যাপক বোমা বর্ষণ ও হামলার প্রেক্ষিতে ইদলিবের হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, ইদলিবের দক্ষিণ অংশের ৪০ এর বেশি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী।
জাতিসংঘের দেয়া আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী চলতি মাসের শুরুতে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে দেশটির দক্ষিণের দিকে চলে গেছে। এছাড়াও আরও হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ জীবন বাঁচাতে উত্তরের তুর্কি সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
অ্যাক্টিভিস্টরা মঙ্গলবার জোবাস গ্রামের একটি স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়াকে দায়ী করছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমান রাইটস বলেছে, নিহত আটজনের মধ্যে ৫ শিশু এক নারীও রয়েছেন।
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশটি এখনো জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দখলে। তুরস্ক সীমান্ত লাগায়ো ভূমধ্যসাগর উপকূলের প্রদেশটিতে ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ক্রমাগত হামলার প্রেক্ষিতে তুরস্কের সীমান্তে মানবিক বিপর্যয়ের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।