ডিসেম্বরের আগেই করোনা ভ্যাকসিন: চীন
১ min readআগামী ডিসেম্বরের আগেই চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন বাজারজাত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। চীনের সরকারি সম্পদ তদারকি ও প্রশাসন কমিশন (এসএএসএসি) ২৯ মে, শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট করোনার ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএএসএসি। শুক্রবার চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে দেয়া বিবৃতিতে এসএএসএসি বলেছে, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা ২০২১ সালের শুরুতে বাজারজাত করার জন্য একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হতে পারে। উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের তৈরিকৃত করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
দেশটির সরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি সিনোফার্মের সহযোগী এ দুই প্রতিষ্ঠান; যার দেখাশোনা করে এসএএসএসি। বিবৃতিতে এসএএসএসি বলছে, বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের বছরে ১০ থেকে ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এদিকে, বেইজিংয়ের জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক তাদের তৈরি করোনার একটি ভ্যাকসিনের ৯৯ শতাংশ কার্যকর হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ সরেজমিনে সিনোভ্যাকের গবেষণাগার পরিদর্শন করে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষকরা বলছেন, সিনোভ্যাকের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। এই ধাপ উতড়ে গেলে তারা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শুরু করবেন। তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষা যৌথভাবে চালানোর জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সিনোভ্যাক। চীনে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি করোনা ভ্যাকসিন প্রথম ধাপের পরীক্ষা পেরিয়ে দ্বিতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এসব পরীক্ষার ফল জানা যাবে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। ভাইরাসটি চীনে চার হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৯ লাখের বেশি মানুষকে সংক্রমিত করে এই ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি।
করোনা ভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, স্কাই নিউজ।