মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৩১ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি বেআইনি’

১ min read

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার উভয় সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বসতি এখনও আইন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

সোমবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নিয়ে অবস্থান বদল করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এসব বসতি এখন আর আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে বিবেচনা করবে না তার দেশ। তিনি দাবি করেন, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের। পম্পেওর এই অবস্থানকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি মন্ত্রী। তবে এই পদক্ষেপকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এবার জাতিসংঘ ও রেড ক্রস এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করলো।

রুপার্ট আরও বলেন, ‘একটি দেশের অবস্থান বদলের ফলে চলমান আন্তর্জাতিক আইন পাল্টে যায় না বা আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিসের ও নিরাপত্তা পরিষদের ব্যাখ্যা বদলে যায় না’।

২০০৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এক পরামর্শক অভিমতে জানায়, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

মানবাধিকার মুখপাত্র আরও বলেন, ১৯৪৯ সালের চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল স্বাক্ষর করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনও দখলদার শক্তি দখলকৃত ভূখণ্ডে নিজেদের বেসামরিক নাগরিকদের স্থানান্তর করতে পারবে না।

জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক আইসিআরসি পশ্চিমতীরকে দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র ইভান ওয়াটসন বলেন, আইসিআরসি বারবার বলে আসছে যে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন (আইএইচএল) বা দখল আইনের লক্ষ্য ও চেতনা বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘোষণায় এই বিষয়ে আইসিআরসির অবস্থান পাল্টায়নি।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, এতে কিছুই পাল্টায় না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দশকের আইন উড়িয়ে দিতে পারেন না। যে আন্তর্জাতিক আইনে বসতি স্থাপনকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে।

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ও তা অব্যাহত রাখা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ফিলিপ নাসিফ।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
error: Content is protected !!