সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দৌমা শহরে ‘বিষাক্ত রাসায়নিক হামলায়’ অন্তত ৭০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে উদ্ধারকর্মীরা। এতে অসুস্থ আছে শতাধিক।
৬ এপ্রিল, শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও সমর্থিত কোনো সূত্র দ্বারা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা’র (এসএএনএ) বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই রাসায়নিক হামলার কারণে বিগত ১০ দিনের শান্ত পরিস্থিতি নষ্ট হয়েছে।
আল-জাজিরাকে দৌমার স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী মায়েদ আল-দাইরানি বলেন, ‘দৌমাতে আকাশ পথে আক্রমণ করা হয়েছে এবং এই শহরটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
মায়েদ আরও বলেন, ‘এই শহরে ক্লোরিন ব্যারেল বোম ফেলার পর হাজারো মানুষ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছে। নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’
ক্লোরিন গ্যাস আক্রমণের উপসর্গগুলো হলো- কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র জ্বালা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা।
৭ এপ্রিল, শনিবার সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল দ্য হোয়াইট হেলমেটস জানায়, এই রাসায়নিক হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
দ্য হোয়াইট হেলমেটসের প্রধান রাইদ আল-সালেহ আল-জাজিরাকে বলেন, ‘দম বন্ধ হয়ে ৭০ জন মারা গেছেন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ভুগছেন আরও শতাধিক।’ তিনি আশঙ্কা করছেন নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাইদ জানান, দৌমাতে রাসায়নিক রাসায়নিক হামলার ঘটনায় ক্লোরিন গ্যাস ও অপরিচিত কিন্তু তীব্র প্রকৃতির গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে।
রাইদ বলেন, ‘হোয়াইট হেলমেটসের স্বেচ্ছাসেবীরা ভুক্তভোগীদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে। তবে এক এলাকা থেকে তাদের হাঁটিয়ে অন্য এলাকায় নিতে হচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ গাড়ি নষ্ট অবস্থায় আছে।’
দলটির এক সদস্য আল-জাজিরাকে জানায়, রাসায়নিক হামলার ফলে একটি পরিবারের সব সদস্য শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছে। কারণ তারা বিমান হামলা ও ব্যারেল বোমের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বেসমেন্টে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছিল।
সম্প্রতি সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা বিরোধীদের দমনে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তারা।
আরো পড়ুন
নিউজিল্যান্ডে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
অ্যামোলেড ডিসপ্লের স্মার্টফোন কেন সেরা?
লোগো পরিবর্তন করলো নোকিয়া