সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের সময় রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের অভিযোগের ওপর ৯০ দিনের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাটদের প্রচারে হ্যাক করার নির্দেশ ক্রেমলিন দিয়েছিল- এমন অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। আর এই তদন্তেরই ফল তৈরি হয়ে যাবে এপ্রিলের শেষ নাগাদ। খবর বিবিসি’র।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাটিক দলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে।
এদিকে রাশিয়াকে হুমকি হিসেবেই দেখছেন ট্রাম্প মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল জেমস মাটিস এবং মনোনীত গোয়েন্দা প্রধান মাইক পম্পিও। রাশিয়া নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে জেনারেল জেমস মাটিস বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ সময়টাতেই ন্যাটো জোট সবচেয়ে বড় আক্রমণের মুখে আছে’। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো দেশগুলোতে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার ট্রাম্পের ইচ্ছাকে সমর্থন জানানোর পরও মাটিস বলেন, ‘অন্তত যেসব ক্ষেত্রে দু’দেশ সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে না, সেসব ক্ষেত্রে রাশিয়ার আচরণ মোকাবিলা করে চলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেয়াটা এ মুহূর্তে খুবই দরকার।’ ‘পুতিন যে ন্যাটোকে ভেঙে ফেলতে চাইছেন এটি আমরা স্বীকার করতে হবে এবং আমাদেরকে সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে।’
গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত মাইক পম্পিও বলেন, মস্কো ইউরোপে একটি হুমকি। ইউক্রেনে আগ্রাসী আচরণ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাশিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে, ইউক্রেন দখল করে নিচ্ছে, ইউরোপে হুমকি হয়ে উঠছে এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী নির্মূলে প্রায় কিছুই করছে না।
আরো পড়ুন
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা বাড়ছেই
একজনও কালো টাকা সাদা করেনি : অর্থমন্ত্রী
আবারও পড়ে গেলেন জো বাইডেন