#মি টু বিতর্কে আরও বিপাকে পড়েছেন এম জে আকবর
১ min readভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর #মি টু বিতর্কে আরও বিপাকে পড়েছেন। নতুন অভিযোগ নিয়ে এম জে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ১২ জন নারী। এবার তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সাংবাদিক প্রিয়া রমানি।
প্রিয়া রমানি সে সময় কলকাতার একটি বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করতেন। তাকে কাজের কিছু কথা বলার জন্য ডেকে পাঠান এম জে আকবর। সে অনুযায়ী ওই নারী সাংবাদিক তার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে চমকে যান তিনি। কারণ সে সময় এম জে আকবর অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন।
একজন সিনিয়র ব্যক্তি তাকে এভাবে ঘরে ডাকতে পারেন তা তিনি ভাবতেই পারেননি। সেখানেই শেষ নয় এরপরেও আরও একবার ওই নারীকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। সে সময় ডেকান ক্রনিক্যালে কাজ করতেন ওই নারী। আর এম জে আকবর সেই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
আকবর প্রকাশনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওই নারীকে ডেকে পাঠান। সেখানে তাকে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন এম জে আকবর। এরপরের দিন সেই নারী সাংবাদিক তাকে এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাকে কনফারেন্স রুমে ডেকে ফের জোর করে চুমু খান আকবর।
এই বিতর্কে এদিকে সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন আকবর। তিনি মামলা করার একদিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছেন ২০ নারী সাংবাদিক। তারাও হয় আকবরের দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার নয়তো এসব ঘটনার সাক্ষী দাবি করে আদালতের কাছে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন।
এশিয়ান এজ-এ আকবরের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকে কাজ করেছেন এমন ২০ জন সাংবাদিক যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘আদালতের কাছে আমাদের আবেদন, মানহানির মামলা শোনার সময় আরও একটি বিষয় নজরে রাখা হোক। পিটিশনের দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার বা এমন ঘটনার সাক্ষীদের বয়ান শুনে এই মামলার বিচার হোক।’
কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে আকবরের পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন দেশের মহিলা সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন অব মিডিয়া প্রফেশনালস অ্যান্ড বৃহন্মুম্বাই ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস।
প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা আনা হয়েছে, তাও তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের বেশ কয়েকজন নারী সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন।