এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন ম্যাংখুতের তাণ্ডব

১ min read

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন ম্যাংখুতের তাণ্ডবে বহু মানুষের প্রাণহানিসহ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ নিহত হয়েছে ভূমিধসের কারণে মাটিচাপায়।

টাইফুনের আঘাতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি নির্ণয় করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। রাস্তা-ঘাট বন্ধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে।

রোববার বিবিসি জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতে হতাহতের সংখ্যা এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের কাজ চলছে। কাগাইয়ান প্রদেশে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা বিভাগের সমন্বয়ক ফ্রান্সিস তোলেন্তিনোর বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছে , বেশিরভাগ নিহত হয়েছে কর্দিলেরা ও নুয়েভো ভিজকাইয়া অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে।

এদের মধ্যে কর্দিলেরায় ২৪ জন নিহত এবং ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া নুয়েভায় দুই শিশুসহ চারজন  এবং কালিংগাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইলোকস সুর প্রদেশে গাছ চাপায় নিহত হয়েছে অপর একজন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে শনিবার ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ম্যাংখুত। এ সময় এর একটি পয়েন্টে বাতাসের বেগ ছিল ঘন্টায় ৩০৫ কিলোমিটার। কিছুটা দুর্বল হয়ে এটি ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ভিয়েতনামের দিকে সরে যাচ্ছে।

টাইফুনের প্রভাবে বন্যা, ভূমিধস ও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে ওমপং নামে পরিচিতি টাইফুনেরর মেঘের বিস্তৃতি ছিল প্রায় ৯০০ কিলোমিটার। এর আগে টাইফুনের প্রভাবে ছয় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাসে উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার লোককে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

কাগায়ানের প্রাদেশিক রাজধানী তুগেগারাও শহরের প্রায় সব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফিলিপাইনের রেড ক্রসের চেয়ারম্যান রিচার্ড গর্ডন জানান, দেশটি এখনও বিপদ থেকে নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, ঝড়ের পর প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় শহর আপারির আশ্রয় কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শহরের ফোন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে।

স্থলে উঠে আসার পর টাইফুনটির বাতাসের বেগ কিছুটা হ্রাস পায়। এতে কিছুটা দুর্বল হয়ে সুপার টাইফুনের অবস্থা থেকে এটি প্রায় চার মাত্রার সমতুল্য একটি হারিকেনে পরিণত হয়।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ম্যাংখুতকে চলতি বছর এ পর্যন্ত আঘাত হানা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেছে।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!