আইসিসির আদেশ প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার
১ min read
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বিতাড়নের অপরাধে তাদের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রয়েছে বলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার।
দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইসিসির ওই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে এটিকে ‘সন্দেহযুক্ত আইনি ভিত্তি এবং ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার ফসল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগত দুর্দশার বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে সেখানে অভিযোগ সাজানো হয়েছে, যার সঙ্গে আইনি যুক্তির কোনো যোগাযোগ নেই, বরং আবেগের জায়গা থেকে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জানায়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রোম সনদ অনুযায়ী তদন্ত করার কর্তৃত্ব আদালতের রয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে আইসিসির প্রধান কৌশলী আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রয়েছে কি না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য এবং বিভিন্ন অধিকার সংগঠনের যুক্তি শুনে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত দেয় আইসিসির তিন বিচারকের প্রি ট্রায়াল প্যানেল।
প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের তিন বিচারকের প্যানেল তাদের রায়ে জানান, মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য না হলেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে ঘটনার একটি অংশ বাংলাদেশে সংগঠিত হয়েছে। ফলে আইসিসি মনে করছে রোম সনদ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করার ক্ষমতা এই আদালতের রয়েছে।
মিয়ানমারের দাবি, মিয়ানমার যেহেতু আইসিসি’র সদস্য নয়, তাই ওই আদালতে তাদের বিচারের প্রশ্নই অবান্তর। এ কারণে বিচারিক এখতিয়ার প্রশ্নে আইসিসির চিঠির জবাবও তারা দেয়নি। কোনো দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য না হলে সেই দেশের সীমানায় সংঘটিত কোনো অপরাধের বিচার এ আদালত সরাসরি করতে পারে না। কিন্তু আইসিসির সদস্য বাংলাদেশ এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালত বিষয়টিকে আন্তসীমান্ত অপরাধ বিবেচনা করছে।
সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে