মার্কিন ভিসা: লাগবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য
১ min read
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যসমূহ সংগ্রহ করার প্রতি ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এমন প্রস্তাবনা এসেছে যে, ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাপ্রার্থীদের ব্যক্তিগত ফেসবুক ও টুইটারঅ্যাকাউন্টের বিগত পাঁচ বছরের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। খবর বিবিসি।
এরই প্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে যে, চলতি বছরে এমন প্রস্তাবনার প্রভাব পড়বে ছাত্র, ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীসহ প্রায় এক কোটি সাতচল্লিশ লাখ (১৪.৭ মিলিয়ন) ভিসাপ্রার্থীর উপর।
ব্যুরো অব কন্স্যুলার এফেয়ার্সের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভার্জিনিয়া এলিয়ট এবিসি নিউজকে বলেন, ‘ভিসা আবেদনকারীদের নির্বাচনের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আগত সকল ধরনের হুমকি ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। ভিসাপ্রার্থীদের ব্যক্তিগত বাড়তি তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে আমাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে এবং আবেদনকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।’
শুধু ফেসবুক কিংবা টুইটার নয়, সকল আবেদনকারীর বিগত পাঁচ বছরের ব্যক্তিগত টেলিফোন নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস ও ভ্রমণ বৃত্তান্ত সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া হবে। এই সকল তথ্যের মাধ্যমে তারা জানার চেষ্টা করবে, আবেদনকারী পূর্বে কোন দেশ থেকে বিতারিত হয়েছিল কিনা অথবা তার পরিবারের কোন সদস্য কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা।
তবে এমন প্রস্তাবনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসামুক্ত ভ্রমণের মর্যাদাপ্রাপ্ত দেশগুলোর উপর কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে মার্কিন যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানি।
অপরদিকে চীন, ভারত ও মেক্সিকোর মতো দেশের নাগরিকরা যদি কাজের জন্য অথবা ছুটি কাটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে তাদের জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে উক্ত প্রস্তাবনা।