হোয়াইট হাউসের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হোপ হিকস পদত্যাগ করেছেন।
হিকস ট্রাম্পের এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, মনে করা হয় তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারতেন এবং অনেক সময় সেটি পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখতেন। ট্রাম্প তাকে ডাকতেন ‘হোপস্টার’ নামে।
পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে হিকস এর এক সহকর্মী গণমাধ্যমকে জানান, হোয়াইট হাউস থেকে তার যা যা পাওয়ার তা পাওয়া হয়ে গেছে। এবার সে নিজের মতো কিছু কাজ করতে চায়। তবে প্রেসিডেন্ট সহজে তাকে ছাড়তে চাননি প্রথমে।
২৯ বছর বয়সী এই সাবেক মডেল ২০১৪ সাল থেকে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় তার প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর বা যোগাযোগ পরিচালকের পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন হিকস।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারস মিস হিকসের পদত্যাগের পেছনে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছে দেওয়া তার সাক্ষ্য প্রদানের কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছে সাক্ষ্য প্রদানকালে তিনি স্বীকার করেন যে, ট্রাম্পের পক্ষে কখনো কখনো সফেদ মিথ্যা বা নির্দোষ মিথ্যা বলতে হয়েছে তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে কোনো অসত্য বলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের প্রেস সচিব হিসেবে চমকপ্রদ অবদান রাখলেও যোগাযোগ প্রধানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তেমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারেননি মিস হিকস।
তবে হিকসের পাশে না থাকাকে ‘মিস’ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে আমরা আবার একত্রে কাজ করব।’
সূত্র: বিবিসি
আরো পড়ুন
ফের তুরস্কের মসনদে এরদোয়ান
সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর; মুখ খুললেন মিথিলা
প্রথম মুসলিম স্পিকার পেল কর্ণাটক বিধানসভা