এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

২৩০০ বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমার জান্তা সরকার

১ min read

জান্তাবিরোধী বিক্ষাভে আটক হওয়া প্রায় দুই হাজার ৩০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। বুধবার দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন। যারা বর্তমান সেনা-শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে লেখালেখি করতেন।

পরে মিয়ানমারের উপ-তথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল জ মিন তুন বলেছেন, যারা শুধু বিক্ষোভ করেছেন কিন্তু কোনো সহিংসতা করেনি, তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও মুক্তি দেয়া হবে। তবে যারা সহিংসতায় যুক্ত ছিল তাদের আটক রাখা হবে।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে রয়েছে জান্তা সরকার। ১ ফেব্রুয়ারির এ অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গণতন্ত্রকামীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে সেনা প্রশাসন। যাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৮৩ জন। আটক রাখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আন্দোলনকারীকে।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুন মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি একটি নিন্দাপ্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে সেখানে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১১৯টি দেশ। স্বৈরশাসিত বেলারুশই একমাত্র এর বিপক্ষে মত দেয়। আর চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ প্রস্তাবে মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকে।

ঠিক তার কিছুদিন পর (২১ জুন) রাশিয়া সফরে যায় জান্তাপ্রধান। ধারণা করা হচ্ছে বিদেশে রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে জান্তা সরকার বহির্বিশ্বে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্ট করছে। রাশিয়া সফরে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। যেখানে তিনি নিজদেশ মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গিয়েছিলেন মিন অং হ্লাইং। মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান ছাড়াও সে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা। সেসময় তারা মিয়ানমারের বর্তমান সংকট নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

এদিকে মিয়ানমারের চলমান সেনা শাসনের বিরুদ্ধে জনঐক্যের ডাক দিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চি। ২৯ জুন আদালতে হাজির হয়ে নিজের আইনজীবীকে এমনটা জানান তিনি।

গৃহবন্দি অং সান সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ, লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকিটকির ব্যবহারসহ মোট ছয়টি অভিযোগের বিচার চলছে। যা শেষে হতে সময় লাগতে পারে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক করা হয় ৭৫ বছর বয়সী সু চিকে। পরে তাকেসহ গৃহবন্দি করা হয় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। সু চির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো আর্থিক দুর্নীতি। এর দায়ে ১৫ বছরের জেল হতে পারে তার।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!