সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আফরিন এলাকায় তীব্র মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও ওয়াইপিজি’র বিরুদ্ধে ট্যাংক হামলা শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। ২০ জানুয়ারি শনিবার দেশটির দেশটির সেনাপ্রধান এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র ও গোপন আস্তানাকে লক্ষ্য করে ওই ট্যাংক হামলা চালানো হয়। তবে তুর্কি সেনাবাহিনী অতি শীঘ্রই সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার প্রবেশ করবে।
ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে অভিযানকে সমর্থন করে তিনি বলেন, নিজের নিরপত্তা নিশ্চিত করার অধিকার তুরস্কের রয়েছে।
মানচিত্রে তুরস্ক ও সিরিয়ার আফরিন শহরের অবস্থান। ছবি: এএফপি
গত কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ৩০ কুর্দি মিলিশিয়াদের নিয়ে একটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৈরীর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ওই ঘোষণায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোয়ান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট তার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কুর্দি মিলিয়াদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক এবং এই লক্ষ্যে সিরিয়ার আফরিন শহরের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সমরান্ত্র মোতায়েন শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ওয়াইপিজি হচ্ছে সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়াদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা তুরস্কের কুর্দি গোষ্ঠী পিকেকে কে সমর্থন করে। সিরিয়ার ও ওয়াইপিজি এবং তুরস্তের পিকেকে উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে এই অঞ্চলে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। রাষ্ট্র ভেঙ্গে যাবার আশঙ্কায় এ দুটি মিলিশিয়া বাহিনীকেই সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে তুরস্ক।
আরো পড়ুন
ফের তুরস্কের মসনদে এরদোয়ান
সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর; মুখ খুললেন মিথিলা
প্রথম মুসলিম স্পিকার পেল কর্ণাটক বিধানসভা