এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের মুখে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ

১ min read

বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে অবস্থান করছেন। এসব মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হওয়া থেকে এক ধাপ দূরে আছেন। খবর- দ্য গার্ডিয়ান

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলছে, আগামী কয়েক মাসে ২০টির বেশি দেশে তীব্র ক্ষুধা বা খাবারের সংকট বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যেতে পারে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) খাদ্যসংকট ব্যাপক আকার ধারণ করা এলাকাগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে- ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানের অনেক এলাকার মানুষ এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন। যে বিষয়গুলো তীব্র ক্ষুধা পরিস্থিতি তৈরি করছে, সেগুলো হলো সংঘাত, জলবায়ুর পরিবর্তন ও করোনা মহামারি।

দুর্ভিক্ষে লাখো মানুষের মৃত্যু রোধে তিনটি বিষয় জরুরি। তা হলো সংঘাত থামানো, ঝুঁকির মুখে থাকা কমিউনিটির কাছে আরও বেশি করে প্রবেশাধিকার ও অনুদান বৃদ্ধি।

এফএওর মহাপরিচালক কিউ ডংইউ বলেন, খাদ্যাভাবজনিত দুর্ভোগের মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে এখনই কাজে নেমে পড়া আমাদের দায়িত্ব। মানুষের জীবন বাঁচাতে, জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে ও পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া ঠেকাতে দ্রুত কাজ করতে হবে।

কিউ ডংইউ বলেন, অনেক অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের মৌসুম সবে শুরু হয়েছে বা শুরু হওয়ার পথে রয়েছে। আমাদের অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। লোকজনকে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া থেকে রক্ষা করা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও স্থানীয়ভাবে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ হারানো উচিত হবে না।

ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, আমাদের চোখের সামনে এক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে চলেছে। সংঘাতের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ, জলবায়ু ও করোনার প্রভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে—এমন পরিস্থিতি কোটি কোটি পরিবারের দরজায় কড়া নাড়ছে।

জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, তীব্র ক্ষুধার বিপর্যয়কর মাত্রার তালিকায় থাকা অঞ্চল ও দেশের শীর্ষে আছে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চল, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদান। অধিকাংশ সংকটপূর্ণ এলাকা আফ্রিকায় অবস্থিত। এ ছাড়া এশিয়ার আফগানিস্তান, সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, লাতিন আমেরিকার হাইতি ও ক্যারিবীয় অঞ্চল একই অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ সুদানের ৭০ লাখের বেশি মানুষ আগামী এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে তীব্র খাদ্যসংকটে পড়তে পারেন। আর জুনের মধ্যে চরম পর্যায়ের তীব্র খাদ্যসংকটে পড়তে পারেন ইয়েমেনের ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ। গত বছরের চেয়ে এ সংখ্যা ৩০ লাখ বেশি।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!