হ্যাকিং চালিয়ে ফাইজার টিকার নথি চুরি!
১ min read
ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সির(ইএমএ) সার্ভারে সাইবার হামলা চালিয়ে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের নথি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইএমএ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বায়োএনটেকের জানানো তথ্য এ হমালার মাধ্যমে তাদের নথিতে প্রবেশ করেছিল হ্যাকাররা। বিবিসি।
আরো দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদনে কাজ করছে ইএমএ এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সাইবার হামলায় এই ভ্যাকসিন দুটির অনুমোদনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে ইএমএ আশ্বস্ত করেছে। হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করলেও ইএমএ তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি দিয়েছে।
তাদের একজন মুখপাত্র জানান, সাইবার হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে। এছাড়া বায়োএনটেকের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বায়োএনটেক জানায়, আমাদেরকে বলা হয়েছে ইএমএ-এর সার্ভারে সাইবার হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা তাদের নথিতে ঢুকেছে। ফাইজার এবং বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্যানডিডেট বিএনটি১৬২বি২ সম্পর্কিত তথ্য ইএমএ-এর সার্ভারে রাখা ছিল। এসব নথিতে বেআইনিভাবে কেউ ঢুকে পড়েছে।
বায়োএনটেক আরও জানায়, এই হামলা ভ্যাকসিন অনুমোদনের সময়সীমায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে ইএমএ তাদের আশ্বস্ত করেছে। এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত সবাইকে জানানো হবে। মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব এবং কাজের প্রতি স্পষ্টতা বোঝাতেই এই কাজ করা হবে বলে বায়োএনটেক জানায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে ইএমএ। যুক্তরাজ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর পর মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা এবং তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে কাজ করছে তারা। তবে এই হামালায় মডার্নার তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
এর আগেও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্তদের হ্যাকিংয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সাইবার হামলার চেষ্টাও হয়েছে এর আগে। সর্বশেষ এই ঘটনা আবারও সবার জন্য সতর্ক বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।