ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরও বসতি স্থাপন করছে ইসরায়েল
১ min read
অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আরো চারটি অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া আল-কুদস শহরের উত্তরে আরো ৯ হাজার ইউনিট বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া নিয়েছে জেরুজালেম। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেজেভ পশ্চিম তীরে নতুন চারটি বসতি নির্মাণের প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ইলেভেনের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনের মা’আন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যেখানে আল-কুদস শহরের পৌরসভা রয়েছে সেখানে ইহুদিদের জন্য ৯ হাজার বসতি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, জেরুজালেম শহরের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের কাছে কয়েক হাজার ইউনিট বসতি নির্মাণ করা হবে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ওই এলাকা দখল করে নেয় ইসরায়েল।
কয়েক বছর আগে জেরুজালেম শহরের এ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করা হয় কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপের কারণে কয়েক বার তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
কিন্তু ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করেছে তা অবৈধ হিসেবে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, তারা এখন ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের অসঙ্গতি হিসেবে দেখছে না।
গত কয়েক বছরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধভাবে শত শত বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখতে চায়। সেখানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির বাস। কিন্তু তাদের ভূখণ্ডের মধ্যেই নতুন বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় সাড়ে চার লাখ ইসরায়েলি।
